শুভেচ্ছা: ভারতীয় পোশাকে মেসির ছবি নিয়ে শুরু চর্চা। যদিও বার্সা ওয়েবসাইট বা তারকা ফুটবলারের ইনস্টাগ্রামে এই ছবি দেখা যায়নি। টুইটার
রবিবার লা লিগায় বড় চমক দিয়েছে গ্রানাদা। ১-০ গোলে রিয়াল বেতিসকে হারিয়ে পয়েন্ট টেবলের শীর্ষে পৌঁছে গিয়েছে দিয়েগো মার্তিনেজের দল। ১০ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ২০।
এমনই এক পরিস্থিতিতে আজ, মঙ্গলবার ক্যাম্প ন্যুতে বার্সেলোনা খেলতে নামছে ভায়াদোলিদের বিরুদ্ধে। এক ম্যাচ কম খেলে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে টেবলের দুই নম্বরে আছে আর্নেস্তো ভালভার্দের দল। সেই ম্যাচে খেলতে নামার আগে যাবতীয় নজর পড়েছে লিয়োনেল মেসির উপরেই।
লুইস এনরিকের উত্তরসূরি হিসেবে বার্সেলোনার দায়িত্ব নেওয়ার পরে আর্নেস্তো ভালভার্দের তত্ত্বাবধানে ১১১টি ম্যাচ খেলেছেন মেসি। গোল করেছেন ৯৯টি। ম্যাচ প্রতি গোলের গড় ০.৮৯। ফলে তাঁর সামনে মঙ্গলবার গোলের সেঞ্চুরি করার সুযোগ থাকছে। এখনও পর্যন্ত ছ’জন বিভিন্ন ম্যানেজারের তত্ত্বাবধানে খেলেছেন লিয়ো। তবে সব চেয়ে বেশি গোল করেছেন পেপ গুয়ার্দিওলা দায়িত্বে থাকার সময়। সে সময় ২১৯ ম্যাচে ২১১ গোল ছিল মেসির। ম্যাচ প্রতি গোলের গড় ছিল ০.৯৬। লুইস এনরিকে দায়িত্বে থাকার সময়ে তাঁর ১৫৮ ম্যাচে গোল ছিল ১৫৩। ফলে মেসিকে নিয়ে ভক্তদের উৎসাহ আরও বেড়ে গিয়েছে।
তবে ব্যক্তিগত সেই কৃতিত্ব নিয়ে মাথা ঘামাতে আদৌ রাজি নন মেসি। স্পেনের এক সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বার্সা-মহাতারকা আরও একবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন, ভবিষ্যতে ক্যাম্প ন্যু ছেড়ে যাওয়ার কোনও ইচ্ছা নেই তাঁর। মেসি বলেছেন, ‘‘আমি তো বহুবার বিভিন্ন জায়গাতে বলেছি, বার্সেলোনা ছেড়ে যাওয়ার কোনও ইচ্ছা নেই। কেন এই প্রশ্ন উঠে আসছে, সেটা আমি বুঝতে পারিনি।’’ যোগ করেছেন, ‘‘গত মরসুমে আমাদের দলের যে পারফরম্যান্স ছিল তা ট্রফি জয়ের জন্য পর্যাপ্ত ছিল না। ফলে এই মরসুমে সেই ব্যর্থতা পূরণ করতেই হবে। আমি তাই ব্যক্তিগত সাফল্যের অধ্যায়গুলো ভুল দলের স্বার্থকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিচ্ছি। সে ভাবেই আমাদের সকলকে খেলতে হবে।’’
এর আগেও মেসি জানিয়েছিলেন, আর্জেন্টিনায় তাঁর ছোটবেলার ক্লাব নিউওয়েলস ওল্ড বয়েজ দলের হয়ে খেলে ফুটবল থেকে অবসর নেবেন। কিন্তু মেসি এখন সেই জায়গা থেকেও সরে এসেছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘ওটা আমার অনেকগুলো স্বপ্নের মধ্যে একটা ছিল। কিন্তু এখন যে অবস্থার মধ্যে আমি রয়েছি, তাতে সেই স্বপ্ন পূর্ণ হওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে।’’ যোগ করেছেন, ‘‘স্পেনে আমার পরিবার রয়েছে। তার প্রতি আমার একট দায়িত্ব রয়েছে। তা ছাড়া থিয়াগো এখন অনেকটাই বড় হয়ে গিয়েছে। ও স্পেনেই পড়াশুনো করে। ওর এখানে অনেক বন্ধুও হয়েছে। এই অবস্থায় থিয়াগো কখনও চাইবে না, আমি আর্জেন্টিনায় গিয়ে খেলি। তাই বার্সা ছাড়ার কোনও কারণই দেখছি না।’’