কারও ভাবাবেগে আঘাত করা নয়। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ঘটানোও নয়। পদ্মাপারের সংশ্লিষ্ট দৈনিকে ভারতীয় ক্রিকেটারদের নিয়ে যে গ্রাফিক্স বেরিয়েছে, তা নেহাতই ওই ম্যাগাজিনের চরিত্র মেনে। যা কৌতুককে প্রাধন্য দেয়।
বাংলাদেশ বলে দিল, গ্রাফিক্স-বিতর্কে ভারত তাদের ভুল বুঝেছে।
বাংলাদেশের প্রথম সারির দৈনিকে এক গ্রাফিক্সকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার ধুন্ধুমার লেগে যায় ভারতে। সংবাদসংস্থা থেকে বিভিন্ন ক্রিকেট ওয়েবসাইট— ওই বিতর্কিত গ্রাফিক্স তুলে দেওয়ায় উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। বাংলাদেশে যা নিয়ে ফোন করে জানা গেল, তারা নাকি ঘটনায় স্তম্ভিত। সংশ্লিষ্ট দৈনিকের ক্রীড়াসম্পাদক উৎপল শুভ্র বলেও দিলেনম, ‘‘এটা একটা ফান ম্যাগাজিন। এর পিছনে কোনও উদ্দেশ্য ছিল না। কাউকে আঘাত দিতে এটা করা হয়নি।’’
বিতর্কটা ঠিক কোথায়?
ছবিতে দেখানো হচ্ছে, টাইগার স্টেশনারি নামক এক দোকানে মুস্তাফিজুর কাটার পাওয়া যাচ্ছে। পাশে কাটার হাতে দাঁড়িয়ে স্বয়ং মুস্তাফিজুর রহমান। ঠিক নীচে মহেন্দ্র সিংহ ধোনি সহ দাঁড়িয়ে সাত ক্রিকেটার। সামনে একটা ব্যানার যে, আমরা ব্যবহার করেছি। আপনারাও করুন। এবং প্রত্যেক ক্রিকেটারের মাথা অর্ধেক কামানো।
বিতর্ক এখানে। যা নিয়ে বলা হতে থাকে, বিজ্ঞাপনী যুদ্ধ পর্যন্ত ঠিক ছিল। কিন্তু একটা সংবাদপত্র এটা কী ভাবে করতে পারে? সোশ্যাল মিডিয়াতেও ঝড় উঠে যায়। কিন্তু অভিযুক্ত পক্ষ থেকে বলা হল যে, বাংলাদেশ ক্রিকেটাররা খারাপ করলে তাঁদেরও বাঘ থেকে বেড়ালে নামিয়ে আনা হয়েছে। মন্ত্রী-আমলারাও বাদ যান না। আসলে যখন যে ব্যাপারটা শিরোনামে থাকে, সেটাকে নাকি এ ভাবে ‘ক্যারিকেচার’ করা হয়। বিশেষ এই ক্রোড়পত্রের চরিত্রই হল, কৌতুক করা। নামেই তার প্রমাণ আছে।
নামটা কী? ‘রসালো’!