বাংলাদেশ কোচ ডোমিঙ্গো ও অধিনায়ক মোমিনুল। ছবি— গেটি।
কথায় বলে, ক্যাচ ধরো, ম্যাচ জেতো। জিততে মরিয়া বাংলাদেশের ফিল্ডিং অনুশীলনেও অভিনবত্ব। মুশফিকুর রহিমদের ক্ষিপ্রতা বাড়ানোর দিকে নজর ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুকের। খেলা চলাকালীন স্লিপ কর্ডন বা ক্লোজ ইনে দাঁড়ানো ফিল্ডাররা যাতে চকিতে ক্যাচ ধরতে পারেন সে দিকেই বুধবার জোর দেন কুক।
মুশফিকুর রহিমদের অনুশীলনের একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। সেই ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, পা ভাঁজ করে বসে কুক ফিল্ডিং অনুশীলন করাচ্ছেন ছেলেদের। তাঁর এক হাতে ব্যাট ধরা। অন্য হাত দিয়ে তিনি সজোরে বল ছুড়ছেন ব্যাটে। সেই বল তড়িৎগতিতে ছুটে যাচ্ছে ফিল্ডারদের কাছে। মুশফিকুর রহিম-সহ অন্যান্য ফিল্ডাররা শরীর ছুড়ে দিয়ে সেই বল ধরার চেষ্টা করছেন।
ম্যাচ চলাকালীন ব্যাটসম্যানের ব্যাট থেকে ছিটকে আসা বল যাতে অনায়াসেই ধরতে পারেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা, সেই কারণেই অনুশীলনে এমন অভিনবত্ব এনেছেন কুক। সিরিজের শেষ টি টোয়েন্টি ম্যাচে শ্রেয়াস আইয়ারের লোপ্পা ক্যাচ ছেড়েছেন বিপ্লব। জীবন ফিরে পেয়ে আইয়ার ভারতকে পৌঁছে দেন ভদ্রস্থ জায়গায়। টেস্টে ফিল্ডিং যাতে উচ্চমানের হয়, সেই দিকেই নজর কুকের।
আরও পড়ুন: মানসিক সমস্যায় আমিও জেরবার ছিলাম, ম্যাক্সওয়েলকে সমর্থন করে বললেন কোহালি
শাকিব আল হাসান, তামিম ইকবালের মতো ক্রিকেটারদের ছাড়াই এ বার খেলতে এসেছে বাংলাদেশ। সাংবাদিক বৈঠকে কোহালি আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, প্রতিপক্ষকে হাল্কা ভাবে তাঁরা নিচ্ছেন না। দলে রক্তাল্পতা থাকলেও মুস্তাফিজুর রহমান ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের পরীক্ষা নিতেই পারেন। ২০১৫ সালে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে মুস্তাফিজকে সামলাতে পারেননি ভারতের ব্যাটসম্যানরা। হোলকার স্টেডিয়ামেও মুস্তাফিজ কিন্তু ভারতের ভয়ের কারণ হয়ে উঠতেই পারেন। কোহালি বলছেন, ‘‘মুস্তাফিজুরকে দেখে খেলতেই হবে। আমরা বাঁ হাতি পেসারকে খুব বেশি খেলিনি। কারণ আমাদের দলেও বাঁ হাতি পেসার নেই। মুস্তাফিজুরকে সামলানো আমাদের কাছে চ্যালেঞ্জের।’’
ভাঙা দল নিয়ে খেলতে এসে টি টোয়েন্টি সিরিজে নজর কেড়ে নিয়েছে বাংলাদেশ। সবার শ্রদ্ধা-সমীহ আদায় করে নিয়েছেন মাহমুদুল্লাহরা। পাঁচ দিনের ক্রিকেটেও ভারতকে বেগ দেওয়াই যে বাংলাদেশের লক্ষ্য, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
আরও পড়ুন: আমার কেরিয়ারে নেমেসিস ছিল হরভজন, স্বীকারোক্তি গিলক্রিস্টের