শ্রীলঙ্কাকে তিন উইকেটে হারিয়ে যুব বিশ্বকাপে তৃতীয় স্থান ছিনিয়ে নিল বাংলাদেশ যুব দল। ব্যাট-বল হাতে পুরো ম্যাচ লড়াই চালিয়ে গেলেন সইফুদ্দিন, মিরাজ, শান্ত, জাকিররা। লড়াইটা সহজ ছিল না বাংলাদেশের জন্য। সেমিফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরে আত্মবিশ্বাস একটু হলেও ধাক্কা খেয়েছিল ব্যাঘ্র বাহিনীর। কিন্তু দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়াল। রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ের শেষটা গেল বাংলাদেশের দখলেই। পুরো টুর্নামেন্টে অসাধারণ খেলার পর সেমিফাইনালে হারের ধাক্কা কাটিয়ে দেশের মুখ উজ্জ্বল করলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভবিষ্যতরা।
শনিবার টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের বোলিংয়ের সামনে ব়ড় রানের ইনিংস খেলতে না পারলেও দু’শোর কোটা পেড়িয়ে গিয়েছিল মেন্ডিস, আসালাঙ্কারা। মিরাজ, হালিমদের বলের দাপটে পুরো ওভারও ব্যাট করতে পারেনি প্রতিপক্ষ। ৪৮.৫ ওভারে ২১৪ রানেই গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কার ইনিংস। ১০ ওভারে মাত্র ২৮ রান দিয়ে তিনটি উইকেট নেন মেহেদি হাসান মিরাজ। দু’টি ওভারে কোনও রান দেননি মিরাজ। জোড়া উইকেট নেন মহম্মদ সইফুদ্দিন ও আবদুল হালেম। একটি করে উিকেট মেহেদি হাসান রানা ও সালে আহমেদ শাওনের। শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানদের মধ্যে বড় রান তুলতে সক্ষম হন অধিনায়ক আসালাঙ্কা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশের যুব দল। এক ওপেনার জয়রাজ শেখ ২৬ রানের ইনিংস খেললেও আর এক ওপেনার জাকির হাসান মাত্র এক বল খেলে কোন রান না করেই ফিরে যান প্যাভেলিয়নে। তাঁর জায়গায় ব্যাট করতে এসে ১৯ রান করে আহত হয়ে ফিরে জাকের আলি। জয়রাজ শেখ আউট হতে দলের হাল ধরতে ক্রিজে আসেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও সাইফুল হায়েত। দ্রুত রান তোলার লক্ষ্যে দু’জনেই রান আউট হয়ে ফিরে যান। যদিও আউট হওয়ার আগে শান্ত ৪০ ও মিরাজ ৫৩ রানের ইনিংস খেলে দলের ব্যাটিংকে একটু হলেও ভরসা দিতে সক্ষম হন। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। ২১ রানে সফিউল হায়েত যখন আউট হন তখন বাংলাদেশের রান ১৮২। তখনও মনে হচ্ছিল কষ্টকর হলেও জয় ছিনিয়ে নিতে সক্ষম হবে বাংলাদেশের যুব দল। যেমন ভাবা তেমনই কাজ। শেষ ওভারে দরকার ছিল মাত্র চার রান। তিন বল বাকি থাকতে সেই রান টপকে গেল বাংলাদেশ। ম্যাচের সেরা হয়েছেন মেহেদি হাসান মিরাজ।
আরও খবর- নাইট সংসারে ম্যাকালামের প্রত্যাবর্তন