—প্রতীকী চিত্র।
কোভিডের জন্য ২০২০ সালে অলিম্পিক্স আয়োজন করতে পারেনি জাপান। এক বছর পিছিয়ে ২০২১ সালে হয়েছিল টোকিয়ো অলিম্পিক্স। এ বারও অলিম্পিক্স শুরুর তিন দিন আগে কোভিডের হানা গেমস ভিলেজে।
বিভিন্ন দেশের খেলোয়াড়েরা আসতে শুরু করেছেন অলিম্পিক্স ভিলেজে। তাঁদেরই দু’জন অস্ট্রেলিয়া থেকে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে পৌঁছেছেন ফ্রান্সে। অস্ট্রেলিয়ার পুরুষ ওয়াটার পোলো দলের দুই সদস্য জ্বর নিয়ে প্যারিসের বিমানে উঠেছিলেন। উপসর্গ দেখে চিকিৎসকদের সন্দেহ হওয়ায় কোভিড পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই পরীক্ষার ফল পজিটিভ হয়েছে। কোভিড পরীক্ষার ফল আসার পর অসুস্থ খেলোয়াড়দের নিভৃতবাসে পাঠানো হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়া দলের প্রধান আনা মেয়ার্স তাঁদের শিবিরে কোভিড হানার কথা মেনে নিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘‘আমাদের দু’জন ওয়াটার পোলো খেলোয়াড় অসুস্থ। সোমবার রাতে রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে। ওদের আলাদা রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দলের বাকিদের কোনও সমস্যা নেই। উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘সাবধানতা হিসাবে দলের বাকিদের সঙ্গে এখন মিশতে বারণ করা হয়েছে। সকালে দলের সঙ্গে ওরা প্রাতরাশ করেনি। তবে পরিস্থিতি টোকিয়োর মতো নয়। কোভিড এখন অন্যান্য ফ্লুয়ের মতোই হয়ে গিয়েছে। তাই আতঙ্কের কিছু নেই। দু’দিন পর থেকেই ওরা দলের অনুশীলনে যোগ দেবে। দুটো দিন ওদের আলাদা ঘরে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’’ সতর্কতা হিসাবে অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড়দের মাস্ক ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে অন্যদের সঙ্গে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে বলা হয়েছে। দলের চিকিৎসকই অসুস্থ দুই খেলোয়াড়ের দেখভাল করছেন।
অলিম্পিক্স ভিলেজে কোভিড সংক্রমণের খবর পাওয়ায় সতর্ক ফ্রান্সের স্বাস্থ্য দফতরও। সে দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফ্রেডেরিক ভ্যালেটক্স বলেছেন, ‘‘ফ্রান্সে কোভিড আছে। তবে আতঙ্কের কিছু নেই। অসুস্থের সংখ্যা খুব বেশি নয়। আমরা পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন। প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা রয়েছে। কোভিড এখন আর আগের মতো সংক্রামক নয়। উদ্বেগের কিছু নেই।’’
গেমস ভিলেজে ছড়িয়ে পড়েছে অস্ট্রেলিয়ার দুই খেলোয়াড়ের অসুস্থতার খবর। তা নিয়ে বিশেষ হেলদোল নেই অন্য দেশের খেলোয়াড় বা কোচদেরও। সকলেই স্বাভাবিক রয়েছেন। অলিম্পিক্স শুরুর প্রহর গুনছেন দেশ-বিদেশের খেলোয়াড়েরা।