আইপিএলে উইকেট রক্ষক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। —ফাইল চিত্র
টেনিস কোর্টে মহেন্দ্র সিংহ ধোনি! তা-ও একেবারে উইম্বলডনে! অস্ট্রেলিয়ার অ্যালেক্স ডি মিনাউর এমন ‘ডিআরএস’ নিলেন, মনে করিয়ে দিলেন ধোনিকে। জিতলেন সেই চ্যালেঞ্জও।
ফ্রান্সের আর্থার ফিলসের সঙ্গে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচ ছিল ডি মিনাউরের। দ্বিতীয় সেটের দ্বিতীয় গেমে সার্ভিস করছিলেন ডি মিনাউর। বেশ কিছু ক্ষণ ধরে একটি ক্রস কোর্ট র্যালি চলছিল। তখনই ডি মিনাউরের ফোরহ্যান্ডে একটি বল মারেন ফিলস। বেসলাইন থেকে বলটি ফেরত দেন ডি মিনাউর। লাইন আম্পায়ার ‘আউট’ কল করেন। অর্থাৎ, বলটি উল্টো দিকের বেসলাইনের বাইরে পড়েছিল। কিন্তু ডি মিনাউর একটুও সময় নষ্ট না করে চ্যালেঞ্জ করেন। রিপ্লেতে দেখা যায়, বলটি এক চুলের জন্য ভিতরে পড়েছে। মাত্র ১ মিলিমিটার ভিতরে পড়ার জন্য ডি মিনাউর ওই চ্যালেঞ্জ জিতে যান।
অ্যালেক্স ডি মিনাউর। ছবি: রয়টার্স।
উইম্বলডনের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে আলাদা করে এই চ্যালেঞ্জের ভিডিয়ো পোস্ট করে লেখা হয়, ‘‘মাত্র ১ মিলিমিটার’’। অনেকেই বলছেন, এটিই টেনিসে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ। কোর্টের ও পার থেকে কী করে বলটি এত নিখুঁত ভাবে ডি মিনাউর দেখতে পেলেন, তা নিয়ে বিস্মিত সবাই।
বিশ্ব ক্রিকেটে ধোনির এ রকম রিভিউ নেওয়ার কৃতিত্ব আছে। এক-দু’বার নয়, বার বার তিনি তাঁর নিখুঁত পর্যবেক্ষণের পরিচয় দিয়েছেন। বিশেষ করে এলবিডব্লিউ আউটের ক্ষেত্রে ধোনি বার বার আম্পায়ারকে ভুল প্রমাণিত করেছেন। অনেক সময় এমনও হয়েছে, বোলারেরা পর্যন্ত আউটের আবেদন করেননি। কিন্তু উইকেটের পিছনে দাঁড়িয়ে ধোনি ঠিক বুঝেছেন ব্যাটার আউট কি না। রিভিউতে দেখা গিয়েছে, ধোনিই ঠিক। ডিআরএস অর্থাৎ ‘ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম’কে এই কারণে অনেকে ‘ধোনি রিভিউ সিস্টেম’ বলেন।
ডি মিনাউর ৬-২, ৬-৪, ৪-৬, ৬-৩ গেমে ফিলসকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠেন। বুধবার শেষ আটে তাঁর সামনে দ্বিতীয় বাছাই নোভাক জোকোভিচ।