ফাইল চিত্র
অ্যাশেজের প্রথম টেস্টে খেলার সুযোগ হয়নি তাঁর। মাঠের বাইরে বসেই দেখতে হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার জয়। সেই মিচেল স্টার্ক এখন বলে দিচ্ছেন, তাঁদের বোলিংয়ে অনেক বিকল্প রয়েছে। এবং সব রকম পরিস্থিতিতে বিপক্ষকে চাপে ফেলার মতো অস্ত্র রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার হাতে।
এজবাস্টন টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৫২.৩ ওভারে ইংল্যান্ডের ইনিংস শেষ করে দিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা। স্টার্ক বলছেন, ‘‘আমাদের দলে কয়েক জন খুব আগ্রাসী বোলার আছে। কয়েক জন আছে যারা নিখুঁত লাইন-লেংথে বিপক্ষের উপরে চাপ তৈরি করতে পারবে। আবার কয়েক জন আছে যারা এই দুইয়ের মিশ্রণ। আমাদের সব রকম পরিস্থিতির জন্য বোলার আছে। সঙ্গে নেথান লায়নকে যোগ করুন। ও তো যে কোনও অবস্থায় উইকেট তুলতে পারে।’’
পাঁচ টেস্টের অ্যাশেজে যে বিভিন্ন মাঠে বিভিন্ন রকম পিচে খেলতে হবে, তা জানেন স্টার্ক। কিন্তু এই বাঁ-হাতি পেসার জানিয়ে দিচ্ছেন, এতে তাঁদের কোনও সমস্যা হবে না। স্টার্কের মন্তব্য, ‘‘আমরা সব রকম পরিবেশ-পরিস্থিতির জন্য তৈরি। পিচ নিষ্প্রাণ হোক কী সবুজ। বল সুইং করুক বা সিম, উইকেট মন্থর হোক বা দ্রুত, আমরা তৈরি। আমাদের হাতে যে এত বিকল্প আছে, এটা দারুণ ব্যাপার।’’
জেমস প্যাটিনসন এবং পিটার সিডল অনেক দিন বাদে অ্যাশেজের লড়াইয়ে ফিরে এসেছেন। এজবাস্টন টেস্টের প্রথম ইনিংসে দু’জনেই দু’উইকেট করে পেয়েছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে উইকেট না পেলেও একটা দিক থেকে চাপ ধরে রেখেছিলেন এই দুই পেসার। স্টার্ক স্বীকার করে নিচ্ছেন, এই দুই পেসারের ফর্ম তাঁর এবং জস হেজলউডের দলে ঢোকা কঠিন করে দিচ্ছে। তিনি বলেছেন, ‘‘প্যাটিনসন যে ভাবে ফিরে এসেছে, দেখে দারুণ লাগছে।’’ প্যাটিনসন প্রসঙ্গে স্টার্ক আরও বলেছেন, ‘‘আমি আর হেজলউড ওর সঙ্গে খেলে বড় হয়েছি। চোটের জন্য ওকে অনেক দিন বাইরে থাকতে হয়েছিল। প্যাটিনসনকে টেস্টে ফিরে আসতে দেখে দারুণ লাগছে।’’