মহড়া: এটিকে-মোহনবাগানের অনুশীলন। টুইটার
সবুজ-মেরুন বনাম লাল-হলুদ শিবিরের ফুটবল-দ্বৈরথ! যা দেখার জন্য এ বার ইন্ডিয়ান সুপার লিগের আয়োজকেরা তো বটেই, কচ্ছ থেকে কোহিমার ফুটবলপ্রেমীরাও প্রহর গুণছেন।
যদিও শুক্রবার এটিকে-মোহনবাগানের প্রীতম কোটাল, রয় কৃষ্ণেরা যখন ভাস্কোর তিলক ময়দানে ঐতিহ্যের ডার্বিতে নামবেন, তখন তাঁদের গায়ে কী রঙের জার্সি থাকবে, তা নিয়েই শুরু হয়েছে চিন্তা।
প্রথম ম্যাচ কেরল ব্লাস্টার্সের মতোই প্রথম পর্বের কলকাতা ডার্বি এটিকে-মোহনবাগানের কাছে অ্যাওয়ে ম্যাচ। কেরলের দলটির বিরুদ্ধে ম্যাচ কমিশনারের অনুমতি মেলায় এটিকে-মোহনবাগান তাদের ঐতিহ্যের সবুজ-মেরুন জার্সি গায়েই খেলতে নেমেছিল। যা তাদের হোম ম্যাচের জার্সি। কিন্তু এসসি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে কী হবে? ম্যাচ কমিশনার ডার্বিতে সবুজ-মেরুন জার্সি অনুমোদন না করলে তখন সাদার উপরে সবুজ-মেরুন স্ট্রাইপ দেওয়া অ্যাওয়ে জার্সি গায়েই খেলতে হতে পারে এটিকে-মোহনবাগানকে। আইএসএলের ঐতিহাসিক এই অভিষেক ডার্বিতে যাতে শেষ পর্যন্ত ম্যাচ কমিশনার যাতে সবুজ-মেরুন জার্সি গায়েই খেলার অনুমতি দেন, তার জন্য সক্রিয় হয়েছে সবুজ-মেরুন শিবির। যদিও ঐতিহ্যের ডার্বিতে অতীতে বহু বারই অ্যাওয়ে জার্সি গায়ে জয় ছিনিয়ে এনেছে মোহনবাগান। কিন্তু এ বার সবুজ-মেরুন জার্সি গায়েই দল শুক্রবারের বড় ম্যাচে খেলুক, তা চান শতাব্দীপ্রাচীন ক্লাবটির সঙ্গে জড়িত কর্তাব্যক্তি, সদস্য, সমর্থকেরা। কিন্তু ৪৮ ঘণ্টা পরে ম্যাচের আগের দিন বৃহস্পতিবার ম্যানেজার্স মিটিংয়ে ম্যাচ কমিশনার এ ব্যাপারে কী নির্দেশ দেন তার দিকেই তাকিয়ে সবুজ-মেরুন শিবির। সোমবার তা নিয়ে এটিকে-মোহনবাগানের অন্দরমহলে একপ্রস্ত আলোচনাও হয়েছে বলে খবর।
এ দিকে, লোকচক্ষুর অন্তরালে থেকেই শুক্রবারের বড় ম্যাচের মহড়া দেওয়া শুরু করলেন এটিকে-মোহনবাগান কোচ আন্তোনিয়ো লোপেস হাবাস। গোয়ায় যে মাঠে প্রস্তুতি সারছে এটিকে-মোহনবাগান, সেখানে যাতে কেউ তাদের অনুশীলনে নজরদারি করতে না পারেন, তার জন্য গোটা মাঠ কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল আগেই। সোমবার সন্ধ্যায় হাবাস অনুশীলনের ক্যামেরাও বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন!