গোয়ার মত না হলেও জৈব সুরক্ষা বলয় তৈরি করেই প্রস্তুতি শিবির হবে বলে এটিকে মোহনবাগান সূত্রের খবর। —ফাইল চিত্র
২৬ এপ্রিল থেকে কলকাতায় শুরু হচ্ছে এটিকে মোহনবাগানের প্রস্তুতি শিবির। তবে সেই শিবিরে যোগ দেওয়ার আগে কলকাতা সহ গোটা পশ্চিমবঙ্গে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন দলের ফুটবলাররা। এটিকে মোহনবাগান কর্তারা যদিও সফল ভাবেই শিবির করার ব্যাপারে আশাবাদী।
আনন্দবাজার ডিজিটালকে এটিকে মোহনবাগানের প্রবীর দাস বলেন, ‘‘চিন্তা রয়েছে অবশ্যই। বাড়িতে বয়স্ক বাবা মা রয়েছেন। দাদার মেয়েও অনেক ছোট। নিজেকে নিয়ে চিন্তা নেই। তবে ওদের নিয়ে কিছুটা ভয়ে রয়েছি। আশা করি জৈব সুরক্ষা বলয় তৈরি করা হবে। তবে আমাদের এখনও এই বিষয়ে কিছু জানান হয়নি।’’
গোয়ার মত না হলেও জৈব সুরক্ষা বলয় তৈরি করেই প্রস্তুতি শিবির হবে বলে এটিকে মোহনবাগান সূত্রের খবর। এর পাশাপাশি প্রতি চারদিন অন্তর ফুটবলারদের কোভিড পরীক্ষা করা হবে। প্রত্যেক দিন অনুশীলনের পর দলের বাস স্যানিটাইজ করা হবে।
কোভিড পরিস্থিতির কারণে চিন্তায় রয়েছেন প্রীতম কোটালও। তবে জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকলে কোনও সমস্যা হবে না বলেই মনে করেন তিনি। প্রীতম বলেন, ‘‘চিন্তা রয়েছে। তবে এখনও দলের তরফ থেকে কিছু জানান হয়নি। আমাদের প্রস্তুতি নিতেই হবে এএফসি কাপের জন্য। তবে জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকলে সমস্যা হবে না।’’ অরিন্দম ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘শিবিরে যোগ দেওয়ার আগে আমাদের দু’বার কোভিড পরীক্ষা হবে। তাছাড়া আমাদের জন্য জৈব সুরক্ষা বলয় নিশ্চই থাকবে। সেক্ষেত্রে সমস্যা হবে না।’’
আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহনের ক্ষেত্রে অনেক বিধি নিষেধ ইতিমধ্যেই আরোপ করেছে ভারত সরকার। তবে সেক্ষেত্রেও প্রধান প্রশিক্ষক আন্তনিয়ো লোপেজ হাবাস-সহ বিদেশি ফুটবলারদের কলকাতা আসতে সেরকম সমস্যা হবে না বলেই আশাবাদী এটিকে মোহনবাগান টিম ম্যানেজমেন্ট। জৈব সুরক্ষা বলয় রয়েছে এমন বিমানবন্দরগুলির মাধ্যমে হাবাস-সহ বিদেশি ফুটবলারদের কলকাতায় আসার ব্যবস্থা করবেন তাঁরা। ১৪ মে মালদ্বীপে এএফসি কাপের প্রথম ম্যাচ খেলবে এটিকে মোহনবাগান।