ঘরের মাঠে আজ প্রথম ম্যাচ জিততে মরিয়া এটিকে কোচ

হায়দরাবাদ এফ সি-র বিরুদ্ধে শুক্রবার খেলতে নামার আগে প্রশ্ন শুনে রয় কৃষ্ণদের কোচ একেবারেই বিব্রত হলেন না। বলে দিলেন, ‘‘পুরনো রেকর্ড নিয়ে মাথা ঘামাতে চাই না। আমাদের একমাত্র লক্ষ্য শুক্রবারের ম্যাচ জেতা।

Advertisement

রতন চক্রবর্তী

শেষ আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০১৯ ০৪:৩৯
Share:

মহড়া: এটিকের অনুশীলনে কোচ হাবাস। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক

যুবভারতীতে আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের ট্র্যাক রেকর্ড ভাল নয়। আইএসএল শুরুর প্রথম দু’বছরের কোচিং জীবনে ঘরের মাঠের বেশির ভাগ ম্যাচই জিততে পারেনি কলকাতা। এ বার ফের নতুন করে এটিকে-র কোচিং করতে এসে তা কি বদলাতে পারবেন স্প্যানিশ কোচ?

Advertisement

হায়দরাবাদ এফ সি-র বিরুদ্ধে শুক্রবার খেলতে নামার আগে প্রশ্ন শুনে রয় কৃষ্ণদের কোচ একেবারেই বিব্রত হলেন না। বলে দিলেন, ‘‘পুরনো রেকর্ড নিয়ে মাথা ঘামাতে চাই না। আমাদের একমাত্র লক্ষ্য শুক্রবারের ম্যাচ জেতা। ঘরের মাঠে না জিতলে সমর্থকরা আসবেন না। ওদের তো দলের জন্য খুবই দরকার।’’ উদ্বোধনী ম্যাচে কোচির মাঠে পঞ্চাশ হাজার কেরল-সমর্থকের শব্দব্রহ্মের দৌরাত্মের সামনে হেরে এসেছে এটিকে। বদলে যাওয়া হাবাস তাই ‘ভাগ্য’-কে গুরুত্ব না দিলেও জেতার জন্য কুড়ি শতাংশ যে দর্শক সমর্থন দরকার তা মেনে নিয়েছেন। ‘‘জেতার জন্য মাঠে সমর্থকদের দরকার। ওরা ম্যাচ জিততে কুড়ি শতাংশ সাহায্য করে,’’ বলে দিয়েছেন এটিকে কোচ।

কলকাতার আবেগ উস্কে দিতে শহর জুড়ে অস্ট্রেলীয় লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা রয় কৃষ্ণের পাশাপাশি বঙ্গ সন্তান প্রীতম কোটাল, প্রণয় হালদার, প্রবীর দাসদের বড় বড় হোর্ডিং লাগিয়েছে এটিকে। কিন্তু তাতেও বঙ্গ-জনতা ফুটবল নিয়ে তেমন মাতেনি। বরং দীপাবলি, বৃষ্টি, নোবেল প্রাপকের শহরে পা রাখা এবং সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ক্রিকেট বোর্ড প্রেসিডেন্ট হওয়া—এই আবহ নিয়েই ব্যস্ত সবাই। সেটা মনে হয় পাঁচ বছর আগে শহরে প্রথম পা-রাখা হাবাসকেও চমকে দিয়েছে। এ দিন একান্তে বলছিলেন, ‘‘আমি যখন প্রথম কোচিং করতে এসেছিলাম তখন যে উন্মাদনা ছিল তা তো দেখছি না।’’

Advertisement

এটিকে এ বার শক্তিশালী দল গড়েও প্রথম ম্যাচ হেরেছে। হাবাস বলছিলেন, ‘‘প্রথম একাদশের সাত ফুটবলার নতুন। আমরা প্রচুর গোলের সুযোগ পেয়েছিলাম। জেতা উচিত ছিল। ও-সব ভেবে লাভ নেই। সামনে তাকাতে চাই।’’ কিন্তু প্রতিযোগিতার নতুন মোড়কে আসা দল হায়দরাবাদ এফসিকে হারানো কি সহজ হবে? মনে হয় না। পুণে থেকে পুণে এফ সি সরে এসে হায়দরাবাদে ঘাঁটি গেড়েছে। এক সময় ভারতীয় ফুটবলের অসংখ্য তারকার জন্ম দিয়েছে এই শহর। সৈয়দ নইমুদ্দিন, মহম্মদ হাবিব, সাবির আলি, আকবর, লতিফুদ্দিন, ফরিদ, অমলরাজ—মাতিয়ে দিয়েছেন কলকাতা ও দেশের ফুটবল। সেই শহরে ফুটবল এখন বিগতযৌবনা। হাবাসের কলকাতার বিরুদ্ধে আজ শুক্রবার হায়দরাবাদ নাম নিয়ে যে দল নামছে, তাতে একজনও ভূমিপুত্র নেই। সবাই বাইরের। তিন জন জাতীয় দলের ফুটবলার-- আদিল খান, কমলজিৎ সিংহ এবং নিখিল পূজারি। হাবাসের সুবিধা সাসপেন্ড থাকায় গতবারের আই লিগের সেরা স্প্যানিশ নেস্তার গোর্দিলো খেলতে পারছেন না। চুক্তি ভঙ্গের দায়ে তাঁকে চার মাস সাসপেন্ড করেছে ফেডারেশন। তবে গতবারের দুই বিদেশি মার্সেলিনহো এবং মার্কো স্টানোভিক রয়েছেন দলে। দলের ব্রিটিশ কোচ পল ব্রাউন বলছিলেন, ‘‘এটিকে-কেরল ম্যাচ আমি ও পুরো দল একসঙ্গে একটা ঘরে

বসে দেখেছি।’’

কলকাতার বৃহস্পতিবারের বৃষ্টি পল-কে নিজের দেশ ইংল্যান্ডের আবহাওয়ার কথা মনে করাচ্ছে জানিয়ে আদিলদের কোচের মন্তব্য, ‘‘দুটো দলই এই আবহাওয়ায় ভাল খেলবে। কারণ কেউ ক্লান্ত হবে না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement