—ফাইল চিত্র।
ইয়ো ইয়ো টেস্ট দিয়ে শুরু হল বাংলার প্রাক মরসুম। এ বার থেকে ছয় সপ্তাহ অন্তর দেখে নেওয়া হবে বাংলার ক্রিকেটারদের ফিটনেসের মাপকাঠি।
সোমবার সল্টলেকে টোয়েন্টি টু ইয়ার্ডস ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে বাংলার প্রাথমিক দলের ক্রিকেটারদের নিয়ে শুরু হয় ফিজিক্যাল ট্রেনিং।
শেষ বার ফিটনেসের অভাব প্রভাব ফেলেছিল বাংলার রঞ্জি ট্রফি যাত্রায়। সব চেয়ে বেশি সমস্যা হয়েছিল ফিল্ডিং নিয়ে। এ বার সে ভুল শোধরাতে চান বাংলার কোচ অরুণ লাল। তিনি বলেন, ‘‘প্রতি ছয় মাস অন্তর ইয়ো ইয়ো পরীক্ষা নিয়ে দেখে নেওয়া হবে ছেলেদের ফিটনেস কোন জায়গায় রয়েছে।’’ যোগ করেন, ‘‘ফিটনেসের উপর জোর না দিলে খুঁতগুলো রয়েই যাবে। শেষ বার ফিল্ডিংয়ের জন্যই অনেক ম্যাচে পিছিয়ে গিয়েছি। এ বার তা চাই না। যত বড় প্রতিপক্ষই হোক লড়াই দেখতে চাই।’’
ফিজিক্যাল ট্রেনিংয়ের সঙ্গে মানসিক দৃঢ়তা বাড়ানোর দিকেও জোর দিচ্ছেন কোচ। তার জন্য অবশ্য আলাদা কোনও মনোবিদ নিয়ে আসা হয়নি। অরুণ বলছিলেন, ‘‘মানসিক দৃঢ়তা তখনই বাড়ে যখন কেউ তার আরামদায়ক জায়গা থেকে বেরিয়ে এসে কাজ করে। ক্ষমতার ঊর্ধ্বে চেষ্টা করে। সেটাই চেষ্টা করা হচ্ছে।’’
বাংলার ফিজিক্যাল ট্রেনার সঞ্জীব দাসের তত্ত্বাবধানে সারা মাস ধরে চলবে ট্রেনিং। এ দিন ইয়ো ইয়ো টেস্টের সঙ্গে স্ট্রেংথ ও কন্ডিশনিং হয় ঈশান পোড়েল, প্রদীপ্ত প্রামাণিকদের। প্রত্যেকের ফিটনেস নিয়ে সন্তুষ্ট বাংলার ট্রেনার। সঞ্জীব বলছিলেন, ‘‘ছেলেদের দেখে মনে হয়নি ট্রেনিংয়ের থেকে বেশ কয়েক দিন বাইরে ছিল। ইয়ো ইয়ো টেস্টে প্রত্যেকের ফলই ভাল। নিয়মিত ট্রেনিংয়ের মধ্যে থাকলে ফিটনেসের মাত্রা বাড়তে বাধ্য।’’
বাংলার প্রাথমিক দলের ক্রিকেটারদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন ভবানীপুর ক্লাবের অলরাউন্ডার অর্ণব নন্দী। কিন্তু কেন তাঁকে বাংলার ট্রেনিংয়ে ডাকা হল? অরুণের ব্যাখ্যা, ‘‘প্রথম ডিভিশন ‘এ’ গ্রুপে অর্ণবের পারফরম্যান্স অসাধারণ। তিনটি সেঞ্চুরি রয়েছে। সঙ্গে ৪০টি উইকেট। পারফরম্যান্সই বলে দিচ্ছে কেন ওর দলে থাকা উচিত।’’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘যাঁকেই জিজ্ঞাসা করেছি, বর্তমানে বাংলায় সেরা অফস্পিনার কে! সবাই অর্ণবের নাম বলেছে। তাই ওর ফিটনেস বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। ভাল জায়গায় থাকলে দলে নেব।’’
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।