India Bangladesh Border

সীমান্ত-সুরক্ষায় সিসি ক্যামেরা বসল ছয়ঘরিয়া পঞ্চায়েতে

এই পরিস্থিতিতে সীমান্ত এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করতে পদক্ষেপ করল ছয়ঘরিয়া পঞ্চায়েচ। এই এলাকার মধ্যেই আছে স্থলবন্দর পেট্রাপোল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৯:৩৩
Share:

বসেছে ক্যামেরা, ভরসা পাচ্ছেন স্থানীয় মানুষ। নিজস্ব চিত্র ।

সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়াতে পেট্রাপোল সীমান্তের ছয়ঘরিয়া পঞ্চায়েত এলাকায় ৬ লক্ষ টাকা খরচ করে ৫০টি সিসি ক্যামেরা বসল।

Advertisement

বাংলাদেশে রাজনৈতিক টালমাটাল পরিস্থিতির জেরে সে দেশে সংখ্যালঘুদের উপরে লাগাতার অত্যাচারের ঘটনা সামনে আসছে। ভারত বিরোধী শক্তি মাথাচাড়া দিয়েছে বলে নানা মহলে অভিযোগ। জেল থেকে দাগি দুষ্কৃতীরা ছাড়া পাচ্ছে, পালিয়ে যাচ্ছে। অনুপ্রবেশের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে বলে আশঙ্কা।

এই পরিস্থিতিতে সীমান্ত এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করতে পদক্ষেপ করল ছয়ঘরিয়া পঞ্চায়েচ। এই এলাকার মধ্যেই আছে স্থলবন্দর পেট্রাপোল। বাণিজ্যের কারণে রোজ শ’য়ে শ’য়ে ট্রাক আসে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। এই পঞ্চায়েতের ভিতরের রাস্তা দিয়েই চলাচল করে। সীমান্ত দিয়ে দৈনিক অনেক মানুষ যাতায়াত করেন। বেশিরভাগ অংশ জুড়েই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত। পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে গোটা এলাকা জুড়ে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। যশোর রোড ছাড়াও এলাকার গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে এবং বিভিন্ন জায়গায় ক্যামেরা বসেছে। বাজার স্কুলের সামনেও ক্যামেরা বসানো হয়েছে। পঞ্চায়েতের প্রধান উমা ঘোষ বলেন, ‘‘বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে নিরাপত্তা বাড়াতে পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে ৬ লক্ষ টাকা খরচ করে ৫০টি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। শুক্রবার থেকে সেগুলি আনুষ্ঠানিক ভাবে চালু করা হয়েছে।’’

Advertisement

পঞ্চায়েত সূত্রের খবর, ‘‘সিসি ক্যামেরাগুলির মনিটর থাকবে পঞ্চায়েতের দফতর, পেট্রাপোল থানা এবং বনগাঁ জেলা পুলিশ সুপারের অফিসে। ফলে পুলিশের পক্ষ থেকেও এলাকায় মানুষের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করতে সুবিধা হবে। এই ঘটনায় সীমান্তে বসবাসকারীরা খুশি। তাঁরা মনে করছেন, এই ঘটনায় এক দিকে যেমন বহিরাগতদের আনাগোনার উপরে নজর রাখা যাবে, তেমনই এলাকার নিরাপত্তাও বাড়বে। বাসিন্দারা জানালেন, কয়েক বছর আগেও এলাকার মানুষ আতঙ্কে থাকতেন। বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত পেরিয়ে এসে দুষ্কৃতীরা খুন, ডাকাতি করে ফিরে যেত। পেট্রাপোল থানা তৈরি হওয়া এবং বিএসএফের নিরাপত্তা বাড়ায় সেই পরিস্থিতি এখন অনেকটাই বদলেছে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেরই দাবি।

বনগাঁ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ প্রসেনজিৎ ঘোষ বলেন, ‘‘সিসি ক্যামেরা বসানোর পাশাপাশি সমস্ত পঞ্চায়েত সদস্যদের সচেতন করে দেওয়া হয়েছে, এলাকায় সন্দেহভাজন কাউকে দেখলে দ্রুত যেন পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। বাসিন্দাদেরও এ নিয়ে সচেতন করা হচ্ছে।’’ যশোর রোড দুর্ঘটনাপ্রবণ। রাতের দিকে অধিকাংশ সময়ে দুর্ঘটনার পরে গাড়িগুলি ধরা যায় না। সিসি ক্যামেরা থাকায় এ বার দ্রুত গাড়ি শনাক্ত করাও সম্ভব হবে বলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ মনে করছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement