তিরন্দাজ দীপিকাকুমারী।
স্বামী এবং স্ত্রী দু’জনেই একসঙ্গে টোকিও অলিম্পিক্সে নামবেন এ বার।
বাংলার এবং ভারতের অন্যতম সেরা তিরন্দাজ অতনু দাস আগেই পুরুষদের দলগত রিকার্ভ বিভাগে টোকিয়োতে নামার টিকিট জোগাড় করে ফেলেছিলেন। বৃহস্পতিবার তাঁর স্ত্রী দীপিকাকুমারীও পেয়ে গেলেন স্বামীর সঙ্গে জাপানগামী বিমানে ওঠার টিকিট।
এ দিন ব্যাঙ্ককে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে দীপিকা সোনা জিতলেন মেয়েদের রিকার্ভ বিভাগে এবং অর্জন করলেন অলিম্পিক্সে নামার যোগ্যতা। ফাইনালে অসাধারণ লক্ষ্যভেদ করলেন কলকাতার বৌমা। ৭-২ ম্যাচে হারালেন মালয়েশিয়ার নুর আফিসা আব্দুল হালিলকে। দীপিকা ছাড়াও রুপো জিতলেন অঙ্কিতা ভকত। সব মিলিয়ে এই প্রতিযোগিতা থেকে ভারতের তিরন্দাজরা একটি সোনা, দুটি রুপো এবং চারটি ব্রোঞ্জ জিতল।
বরানগরের ছেলে এবং টাটা অ্যাকাডেমির প্রাক্তনী অতনু টোকিয়োতে ছেলেদের বিভাগে নামবেন তরুণদীপ পাই এবং প্রবীণ যাদবের সঙ্গে। নিজে টোকিওতে নামার ছাড়পত্র পাওয়ার পর স্ত্রী যাতে তা অর্জন করতে পারে তার জন্য লক্ষ্য ঠিক করে অতনু অপেক্ষা করছিলেন গ্যালারিতে। উচ্ছ্বসিত দীপিকা সেটা বলেও দিয়েছেন লক্ষ্যে পৌঁছনোর পর। ‘‘ফাইনাল রাউন্ডে অতনু আমাকে ২৮ পয়েন্ট করার লক্ষ্য বেঁধে দিয়েছিল। আমি কথা দিয়েছিলাম সেই লক্ষ্যে পৌঁছবোই। তার চেয়ে এক পয়েন্ট বেশি পেয়েছি। তিনটি তিরের মধ্যে প্রথম দুটিতে দশ মেরেছি। তার পরেরটায় নয় মারি।’’ বলে দিয়েছেন সোনার মেয়ে। এই প্রতিযোগিতায় স্বামী-স্ত্রী মিক্সড বিভাগে আগে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন মঙ্গলবার। দীপিকা বলছিলেন, ‘‘প্রচণ্ড হাওয়া দিচ্ছিল বলে আমরা খুব চিন্তায় ছিলাম। কিন্তু লক্ষ্যে স্থির ছিলাম। ঠিক করেছিলাম আমাকে সফল হতেই হবে। তাতে যে বাধাই আসুক, সমস্যা হবে না।’’ সঙ্গে যোগ করলেন, ‘‘এর পর আমাদের লক্ষ্য পরের বছর বার্লিন বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করা। আশা করি সেটা পারব।’’ তিরন্দাজি ফেডারেশেনের ডামাডোলের জন্য অতনু-দীপিকারা নেমেছিলেন ইন্ডিয়ান অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি হয়ে এবং ব্যক্তিগতভাবে।