লড়াকু: ৯৪ রানে অপরাজিত রয়েছেন অনুষ্টুপ। নিজস্ব চিত্র
মরসুমের শুরু থেকেই তারুণ্যের উপরে জোর দিয়েছিল বাংলা শিবির। অনূর্ধ্ব-২৩ বিভাগে ভাল পারফর্ম করে আসা ক্রিকেটারদের দলে নেওয়া হয়। নজর দেওয়া হয়েছিল অনূর্ধব-১৯ দলের ক্রিকেটারদের দিকেও।
কিন্তু রঞ্জি ট্রফিতে শেষ দু’ম্যাচে বাংলাকে ব্যাটিং বিপর্যয় থেকে বাঁচালেন অভিজ্ঞ ক্রিকেটারেরাই। কল্যাণীতে ৬০ রানে তিন উইকেট হারানোর পরে মনোজ তিওয়ারি ও অনুষ্টুপ মজুমদার ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করেছিল বাংলাকে। সোমবার ইডেনে দিল্লির বিরুদ্ধে ৭২ রানে তিন উইকেট পড়ে যাওয়ার পরে সেই অনুষ্টুপকেই দায়িত্ব নিতে হয় ইনিংসের হাল ফেরানোর। তাঁকে সঙ্গ দেন শ্রীবৎস গোস্বামী (৫৯) ও শাহবাজ আহমেদ। প্রথম দিনের শেষে পাঁচ উইকেট হারিয়ে বাংলার রান ২৮৬। অনুষ্টুপ অপরাজিত ৯৪ রানে। ৬৫ বলে ৩৯ রানে অপরাজিত শাহবাজ।
সোমবার পিচ দেখে চার পেসার খেলানোর সিদ্ধান্ত নেয় বাংলা। কিন্তু টস হেরে স্যাঁতস্যাঁতে পিচে ব্যাট করার কঠিন কাজটি করতে হয় মনোজ তিওয়ারির দলকেই। দিল্লির প্রথম সারির পেসারেরা কেউ ভারতের প্রতিনিধিত্ব করছেন, কেউ ভুগছেন চোট নিয়ে। তাই নবদীপ সাইনি, ইশান্ত শর্মা ও প্রদীপ সঙ্গওয়ানকে ছাড়াই বাংলার বিরুদ্ধে নামতে হয়েছে দিল্লিকে। তবুও ২৮ ওভারের মাথায় তিন উইকেট হারায় বাংলা। কিন্তু এই তিনটি উইকেটের দু’টিই নেন বাঁ-হাতি স্পিনার বিকাশ মিশ্র। ব্যাট ও পায়ের ফাঁক দিয়ে বোল্ড তরুণ ব্যাটসম্যান কাজি জুনেইদ সৈফি। স্টেপ আউট করে ছয় মারতে গিয়ে স্টাম্পড অধিনায়ক মনোজ (৭)।
ওপেনার কৌশিক ঘোষকে সঙ্গ দিতে ক্রিজে আসেন অনুষ্টুপ। তাঁর রান করার গতিই বুঝিয়ে দেয়, প্রতিআক্রমণের পরিকল্পনা নিয়েই মাঠে নেমেছেন। প্রথম আড়াই ঘণ্টায় যে দল মাত্র ৭৩ রান করে, দ্বিতীয় সেশনে তারা যোগ করে ১১৮ রান। ১২২ বলে ৪৬ রান করে কৌশিক প্যাভিলিয়নে ফিরে যাওয়ার পরে ক্রিজে আসেন শ্রীবৎস। তাঁর ইনিংস সাজানোর ভঙ্গি দেখে আর মনেই হয়নি সকাল থেকে এতটা কঠিন সময় ক্রিজে কাটাতে হয়েছে ব্যাটসম্যানদের। ১১৭ রান যোগ করে বাংলাকে ম্যাচে ফেরায় এই জুটি। কল্যাণীতে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে কঠিন পরিস্থিতিতে ৯৫ রান করেছিলেন বাংলার উইকেটকিপার।