—ফাইল চিত্র
নতুন বছরের প্রথম ম্যাচে বেঙ্গালুরু এফসি-র বিরুদ্ধে দুরন্ত জয়ের পরেই স্বস্তি ফিরেছে লাল-হলুদ শিবিরে। এ বার কেরল ব্লাস্টার্সের মুখোমুখি হওয়ার আটচল্লিশ ঘণ্টা আগে অ্যান্টনি পিলকিংটনকে নিয়েও উদ্বেগ দূর হল। তবে এটিকে-মোহনবাগানে অস্বস্তি বাড়ছে কার্ল ম্যাকহিউকে নিয়ে।
চোটের কারণে এফসি গোয়া ও বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে দলে ছিলেন না ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা পিলকিংটন। অঘটন না ঘটলে শুক্রবার কেরল ম্যাচে শুরু থেকেই খেলবেন তিনি। পুরোদমেই দলের সঙ্গে অনুশীলন করছেন পিলকিংটন। শুধু তাই নয়। চোট পেয়ে ছিটকে যাওয়া মাঝমাঠের আর এক ফুটবলার লোকেন মিতেইও সুস্থ হয়ে উঠেছেন। কেরলের বিরুদ্ধে তাঁরও দলে ফেরার সম্ভাবনা প্রবল।
কেরল ম্যাচে রিজার্ভ বেঞ্চে ফিরছেন নির্বাসনমুক্ত রবি ফাওলারও। বুধবার ফুটবলারদের বিশ্রাম দিলেও লাল-হলুদ কোচ ব্যস্ত ছিলেন রণকৌশল তৈরিতে। প্রথম পর্বে কেরলের বিরুদ্ধে এগিয়ে গিয়েও শেষ মুহূর্তে রক্ষণের ভুলে গোল খেয়ে জয় হাতছাড়া করেছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। আগের ম্যাচে দল গোল না খাওয়ায় রক্ষণ নিয়ে কিছুটা হলেও দুশ্চিন্তা কমেছে লাল-হলুদ কোচের। তবে মাঝমাঠ নিয়ে চিন্তা থেকেই গিয়েছে লিভারপুল কিংবদন্তির। এই কারণেই অনুশীলনে বাড়তি পরিশ্রম করছেন মিলন সিংহ ও শেহনাজ সিংহকে নিয়ে। প্রথম জন এখনও পর্যন্ত সে ভাবে নজর কাড়তে পারেননি। দ্বিতীয় জনের সমস্যা শরীরের বাড়তি ওজন। ফাওলার আশাবাদী, দুই মিডফিল্ডারই দ্রুত ছন্দে ফিরবেন।
১০ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে আইএসএল টেবলে নবম স্থানে এই মুহূর্তে এসসি ইস্টবেঙ্গল। সমসংখ্যক ম্যাচ খেলে নয় পয়েন্ট নিয়ে দশম স্থানে কেরল। কিন্তু আগের ম্যাচে দশ জনে খেলে জামশেদপুর এফসি-র বিরুদ্ধে কিবু ভিকুনার দলের দুরন্ত জয়কে প্রচণ্ড গুরুত্ব দিচ্ছেন ফাওলার। তাঁর চিন্তা বাড়ছে আগের ম্যাচে জোড়া গোল করা কেরলের ২৫ বছর বয়সি অস্ট্রেলীয় স্ট্রাইকার জর্ডান মারেকে নিয়ে।
কলকাতার আর এক প্রধান এটিকে-মোহনবাগানের পরের ম্যাচ আগামী রবিবার এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে। প্রথম পর্বের সাক্ষাতে ১-০ জিতেছিলেন রয় কৃষ্ণেরা। যদিও এই ম্যাচের আগে খুব একটা স্বস্তিতে নেই কোচ আন্তোনিয়ো লোপেস হাবাস। চোট সারিয়ে জাভি হার্নান্দেস মাঠে ফেরায় দুশ্চিন্তা দূর হয়েছিল তাঁর। এ বার তাঁর উদ্বেগ বাড়িয়েছেন মাঝমাঠের অন্যতম ভরসা ম্যাকহিউ। গোয়ার বিরুদ্ধেও তাঁর খেলার সম্ভাবনা ক্ষীণ। কবে ম্যাকহিউ মাঠে ফিরবেন, তা নিয়ে ধোঁয়াশা অব্যাহত। সবুজ-মেরুন শিবিরের খবর, এক সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হতে পারে তাঁকে।
মুম্বই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে ০-১ হারের ধাক্কা কাটিয়ে বুধবার থেকেই গোয়া ম্যাচের প্রস্তুতিতে নেমে পড়েছেন হাবাস। আগের ম্যাচে গোলরক্ষক অরিন্দম ভট্টাচার্য চোখে আঘাত পেয়েছিলেন। এ দিন তিনি দলের সঙ্গে মাঠে গেলেও অনুশীলন করেননি। জানা গিয়েছে, অরিন্দমের আঘাত গুরুতর নয়। গোয়ার বিরুদ্ধে তাঁকে রেখেই রণনীতি তৈরি করছেন এটিকে-মোহনবাগান কোচ। যদিও তিনি মানতে নারাজ, মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে অতিরক্ষণাত্মক খেলতে গিয়েই ডুবেছে দল। ম্যাচের পরে হাবাস দাবি করেছিলেন, ‘‘প্রথমার্ধে রক্ষণাত্মক খেলার কোনও পরিকল্পনা আমাদের ছিল না। শুরুতেই আমরা আক্রমণ করেছিলাম। কিন্তু ফুটবলারেরা সেই ছন্দ ধরে রাখতে পারেনি।’’ তিনি আরও বলেছিলেন, ‘‘জিততে না পারার প্রধান কারণ, সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে ব্যর্থ হওয়া।’’ ১০ ম্যাচে ২০ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবলের দ্বিতীয় স্থানে থাকা এটিকে-মোহনবাগানের স্পেনীয় কোচ গোয়ার বিরুদ্ধে আগের ম্যাচের ভুলের পুনরাবৃত্তি চান না।