পিয়ারলেসের ত্রাতা ক্রোমা, আশার আলো দুই প্রধানে

কাস্টমসকে হারাতে পারলে শনিবারই খেতাবি দৌড়ে অনেকটা এগিয়ে যেতে পারতেন আনসুমানা ক্রোমারা। কিন্তু বারাসত স্টেডিয়ামে ম্যাচের ২৫ মিনিটে প্রথম ধাক্কা খায় পিয়ারলেস। স্ট্যানলি গোল করে এগিয়ে দেন কাস্টমসকে। ৬৬ মিনিটে সমতা ফেরালেও স্বস্তি দীর্ঘস্থায়ী হয়নি পিয়ারলেস শিবিরে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৪:৪৮
Share:

ক্রোমার কাঁধে চেপেই এগিয়ে চলেছে পিয়ারলেস।

জমজমাট কলকাতা প্রিমিয়ার লিগ! পিয়ারলেস ও জর্জ টেলিগ্রাফের ড্রয়ে ফের চনমনে ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান শিবির।

Advertisement

কাস্টমসকে হারাতে পারলে শনিবারই খেতাবি দৌড়ে অনেকটা এগিয়ে যেতে পারতেন আনসুমানা ক্রোমারা। কিন্তু বারাসত স্টেডিয়ামে ম্যাচের ২৫ মিনিটে প্রথম ধাক্কা খায় পিয়ারলেস। স্ট্যানলি গোল করে এগিয়ে দেন কাস্টমসকে। ৬৬ মিনিটে সমতা ফেরালেও স্বস্তি দীর্ঘস্থায়ী হয়নি পিয়ারলেস শিবিরে। দু’মিনিটের মধ্যেই ফের স্ট্যানলির গোলে এগিয়ে যায় কাস্টমস। ৮৮ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে পিয়ারলেসের নিশ্চিত হার বাঁচালেন ক্রোমা। যদিও পেনাল্টি নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে কাস্টমস অন্দরমহলে। রেফারির বিরুদ্ধে তারা অভিযোগও জানিয়েছে আইএফএ-তে। কাস্টমস কোচ রাজীব দে বলেছেন, ‘‘ভুল রেফারিংয়ের জন্যই নিশ্চিত জয় হাতছাড়া হল আমাদের।’’ সাত ম্যাচে ১১ গোল করে এই মুহূর্তে কলকাতা প্রিমিয়ার লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা ক্রোমা। কিন্তু দল জিততে না পারায় মন খারাপ শাহরুখ খানের ভক্ত লাইবেরীয় স্ট্রাইকারের। ম্যাচের পরে আনন্দবাজারকে ক্রোমা বললেন, ‘‘জিতলে খেতাবি দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে যেতে পারতাম। অবশ্য ফুটবলে মাঝেমধ্যে এ রকম হতেই পারে। পরের ম্যাচগুলো জেতার জন্য ঝাঁপাতে হবে।’’ পিয়ারলেস কোচ জহর দাসের ব্যাখ্যা, ‘‘কাস্টমস অবনমন বাঁচানোর জন্য মরিয়া হয়ে খেলেছে। দু’বার পিছিয়ে পড়েও যে ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ছেলেরা, তাতে আমি খুশি।’’ তিনি যোগ করেন, ‘‘জিততে না পারলেও আমরা গোল করার সুযোগ বেশি পেয়েছিলাম। তবে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। পরের ম্যাচগুলো জেতার চেষ্টা করতে হবে।’’

ড্র করলেও সাত ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবলের শীর্ষেই থাকল পিয়ারলেস। সমসংখ্যক ম্যাচ খেলে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ভবানীপুর। টেবলের তিন নম্বরে থাকা ইস্টবেঙ্গলেরও সাত ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট। চতুর্থ স্থানে উঠে আসা মহমেডানের পয়েন্ট আট ম্যাচে ১৩। সাদার্ন সমিতির সঙ্গে ড্র করে জর্জও লিগ টেবলের শীর্ষ স্থানে ওঠার সুযোগ হাতছাড়া করল। সাত ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে তারা নেমে গিয়েছে পঞ্চম স্থানে। সাত ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে মোহনবাগান। এই পরিস্থিতিতে আজ, রবিবার রেনবোর বিরুদ্ধে জিতলে আট ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে পিয়ারলেসকে ছুঁয়ে ফেলবেন জোসেবা বেইতিয়ারা। আবার সোমবার ভবানীপুরকে হারিয়ে আট ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে এক নম্বরে পৌঁছে যাওয়ার হাতছানি রয়েছে ইস্টবেঙ্গলের সামনে। লাল-হলুদ শিবিরে অবশ্য লিগের অঙ্ক নিয়ে ফুটবলারদের ভাবতে বারণ করে দেওয়া হয়েছে। দলের এক সদস্যের কথায়, ‘‘শেষ চারটি ম্যাচ আমাদের জিততেই হবে। তার পরে দেখা যাক কী হয়। আমাদের লক্ষ্য নিজেদের কাজটা সুষ্ঠু ভাবে করা।’’ সবুজ-মেরুনের এক সদস্য বললেন, ‘‘পিয়ারলেস ও জর্জ ড্র করায় আশার ক্ষীণ আলো দেখতে পাচ্ছি। তবে আমাদের আর পয়েন্ট নষ্ট করলে চলবে না।’’

Advertisement

স্বস্তি ইস্টবেঙ্গলে: পিয়ারলেস ম্যাচে রেফারি নিগ্রহের জন্য দুই ফুটবলার লালরিনডিকা রালতে ও মেহতাব সিংহের জরিমানার অঙ্ক কমাল আইএফএ। শাস্তি কমানোর আবেদন করেছিল ইস্টবেঙ্গল। শনিবার আইএফএ জানায়, দুই ফুটবলারের জরিমানা এক লাখ থেকে কমিয়ে ৭৫ হাজার টাকা করা হয়। গোলরক্ষক কোচ ও ম্যানেজারের নির্বাসন তুলে নিয়ে ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement