স্পট ফিক্সিং-এর কলঙ্ক কাটিয়ে ৭ বছর পরে মাঠে ফিরতে চলেছেন অঙ্কিত চহ্বণ। ফাইল চিত্র
ফের বাইশ গজের যুদ্ধে ফিরতে চলেছেন স্পট ফিক্সিং-এর দায়ে নির্বাসিত অঙ্কিত চহ্বণ। ২০১৩ সালে আইপিএল চলার সময় স্পট ফিক্সিং কাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে রাজস্থান রয়্যালসের এই বাঁহাতি স্পিনারকে আজীবন নির্বাসিত করেছিল বিসিসিআই। তবে সেই নির্বাসন পুর্নবিবেচনা করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। সেই শাস্তি কমিয়ে সাত বছরে নিয়ে আসা হয়েছে। ফলে সেই অনুসারে অঙ্কিতের নির্বাসন ২০২০ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর শেষ হয়ে গিয়েছে। তাই ৩৫ বছরের অঙ্কিতের মাঠে নামতে আর কোনও বাধা রইল না। ক্লাব ক্রিকেট খেলার ব্যাপারে ইতিমধ্যেই মুম্বই ক্রিকেট সংস্থাকে চিঠি লিখেছেন অঙ্কিত।
এই বিষয়ে অঙ্কিত বলেন, “আমার বাড়ি শিবাজি পার্কের খুব কাছে। তবুও গত সাত বছর মাঠে যেতে পারিনি। এটা যে কত বড় যন্ত্রণা সেটা শুধু আমি জানি। আমি আবার মাঠে ফিরতে চাই। আমার বয়স ৩৫। এখনও যথেষ্ট ফিট। গত কয়েক বছর খুবই কষ্টের মধ্যে দিন-রাত কাটিয়েছি। এ বার দয়া করে মাঠে যাওয়ার অনুমতি দিন।”
২০১৩ সালে শান্তাকুমারণ শ্রীসন্থ, অজিত চান্ডিলার সঙ্গে স্পট ফিক্সিং-এর দায়ে অভিযুক্ত হন অঙ্কিত। কিন্তু নির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণের অভাবে ২০১৫ সালে দিল্লির বিশেষ আদালত এই তিনজনকে মুক্ত করে। তবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় থেকে এই তিনজনকে আজীবন নির্বাসিত করেছিল। শ্রীসন্থের শাস্তি আগেই কমানো হয়েছিল। এ বার অঙ্কিতের শাস্তিও কমিয়ে দিল বিসিসিআই। বোর্ডের অন্তর্বর্তীকালীন সিইও হেমঙ্গ আমিন ইতিমধ্যেই সেই চিঠি মুম্বই ক্রিকেট সংস্থাকে পাঠিয়ে দিয়েছেন।
এই তিন অভিযুক্তের মধ্যে একমাত্র শ্রীসন্থ বোর্ডের সিদ্ধান্তের চ্যালেঞ্জ জানিয়ে অ্যাপেক্স কোর্টে আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদনের ভিত্তিতে ২০১৯ সালে কেরলের এই জোরে বোলারের উপর নির্বাসন তুলে নিতে বাধ্য হয় বোর্ড। তারপর ২০২০ সাল থেকে কেরলের হয়ে ফের ঘরোয়া ক্রিকেট খেলছেন বিশ্বকাপ জয়ী এই শ্রীসন্থ।
অঙ্কিতও তাই এখন তাঁর প্রাক্তন সতীর্থের মতো মাঠে ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন। তাই শেষে বলেন, “বিসিসিআই-এর এই চিঠি আমাকে অনেক স্বস্তি দিয়েছে। গত কয়েক বছর ক্রিকেট থেকে দূরে থাকতে বাধ্য হয়েছিলাম। তবে এ বার মাঠে নেমে পড়তে চাই। বিসিসিআই ও এমসিএ-কে অনেক ধন্যবাদ।”