—ফাইল চিত্র
করোনাভাইরাসের হানা এ বার ভারতীয় ফুটবল দলের অন্দরমহলে। মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে নিভৃতবাসে রয়েছেন অনিরুদ্ধ থাপা। আজ, রবিবার ফের কোভিড পরীক্ষা হওয়ার কথা ২৩ বছর বয়সি মিডফিল্ডারের।
গত ১৯ মে নয়াদিল্লি থেকে রওনা হওয়ার আগে ভারতীয় দলের প্রত্যেকেরই কোভিড পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এসেছিল। দোহা পৌঁছনোর পরেও স্বাস্থ্যপরীক্ষা হয় সকলের। তখনও কারও শরীরে মারণ ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। কিন্তু কাতারের বিরুদ্ধে ম্যাচে অনিরুদ্ধ দলে না থাকায় জল্পনা শুরু হয়। জানা গিয়েছে, ম্যাচের আগের দিনই তাঁর কোভিড পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় নিভৃতবাসে।
শনিবার সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সচিব কুশল দাস স্বীকার করে নিয়েছেন যে, অনিরুদ্ধর করোনা হয়েছে। তিনি বলেছেন, “অনিরুদ্ধর করোনা রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে। ওকে বাকিদের থেকে আলাদা রাখা হয়েছে।” দোহায় জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হলেন অনিরুদ্ধ, তা নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে।
অনিরুদ্ধকে নিয়ে অস্বস্তির মধ্যেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচের রণকৌশল তৈরিতে মগ্ন কোচ ইগর স্তিমাচ। আগের ম্যাচে কাতারের বিরুদ্ধে ৭৩ মিনিট দশ জনে দুর্দান্ত লড়াই করলেও ০-১ হেরে গিয়েছিল ভারতীয় দল। আগামী সোমবার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জেতা ছাড়া কিছুই ভাবছেন না সুনীল ছেত্রীরা। কারণ, এই ম্যাচের উপরে অনেকটাই নির্ভর করছে এএফসি এশিয়ান কাপে ভারতের ভাগ্য। আর তাই ন্যূনতম ঝুঁকিও নিতে রাজি নন ইগর। সূত্রের খবর, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দলে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন করতে পারেন তিনি।
প্রথম পর্বে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে খেলা শেষ হওয়ার দু’মিনিট আগে আদিল খান গোল করে হার বাঁচিয়েছিলেন ভারতের। ইতিমধ্যেই বিপক্ষের অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়া হুঙ্কার দিয়ে রেখেছেন, “আগের বার অল্পের জন্য জিততে পারিনি আমরা। শেষ মুহূর্তে সমতা ফিরিয়েছিল ভারত। এ বার আমরা আরও ক্ষুধার্ত হয়ে মাঠে নামব।”
চিন্তিত ইগর শনিবারই ফুটবলারদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন। ভারতীয় দলের অন্দরমহলের খবর, সকলকে সতর্ক করে দিয়ে জাতীয় কোচ বলেছেন, প্রথম পর্বেও কাতারের বিরুদ্ধে দারুণ খেলে ড্র করে বাংলাদেশ ম্যাচে নেমেছিল ভারত। কোনও মতে মানরক্ষা হয়েছিল। এ বার যেন তার পুনরাবৃত্তি না হয়।