ফাইল চিত্র।
সাড়ে পনেরো কোটির প্যাট কামিন্স আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, পারিবারিক কারণে আইপিএলের দ্বিতীয় দফায় খেলতে আসা হবে না তাঁর। কামিন্সের পরিবর্তে অভিজ্ঞ পেসার টিম সাউদিকে নিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। কিন্তু রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে চতুর্থ বিদেশি হিসেবে সাউদি খেলবেন না লকি ফার্গুসন, সে বিষয়ে তৈরি হয়েছে কৌতূহল।
টেস্ট ক্রিকেটে সাউদি যতটা ভয়ঙ্কর, টি-টোয়েন্টিতে আদৌ কি ব্যাটসম্যানকে সে ভাবে চাপে রাখতে পারেন? এত দিনে ৮৩টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। উইকেটসংখ্যা ৯৯। তাঁর ‘ইকনমি রেট’ (ওভার প্রতি রানের গড়) যে কোনও অধিনায়কের কাছেই চিন্তার বিষয়। ওভার-প্রতি আটেরও ওপরে (৮.৩৯) রান দিয়েছেন। আইপিএলে ৪০টি ম্যাচে তাঁর উইকেটসংখ্যা ২৮। ২০১৯ সালে শেষ বার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরে ছিলেন সাউদি। মাত্র তিনটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। উইকেট ছিল একটি। ২০২০ সালে তিনি আইপিএল খেলেননি। এ বারও নিলাম থেকে কোনও দলই তাঁকে নেয়নি। কামিন্সের পরিবর্ত হিসেবে তাঁকে নিল কেকেআর। সোমবার পুরনো দল আরসিবির বিরুদ্ধে সাউদিকে প্রথম একাদশে খেলানো হয় কি না, সেটাই দেখার। শুক্রবারই নাইট জার্সিতে প্রথম বার অনুশীলনে নেমে পড়লেন নিউজ়িল্যান্ডের অভিজ্ঞ পেসার।
কামিন্সের পরিবর্তে চতুর্থ বিদেশি হিসেবে জায়গা করে নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে লকি ফার্গুসনেরও। শেষ বার সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে এক ম্যাচে তিন উইকেট নিয়ে নাইটদের জিতিয়েছিলেন তিনি। লকির এক্সপ্রেস গতি যে কোনও ব্যাটসম্যানের রাতের ঘুম কেড়ে নিতে পারে। সেই সঙ্গেই টি-টোয়েন্টি খেলার জন্য বৈচিত্র বাড়িয়েছেন তিনি। স্লোয়ার অফকাটার, স্লোয়ার লেগকাটার এমনকি স্লোয়ার বাউন্সার দিয়ে ব্যাটসম্যানকে চমকে দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে তাঁর। উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না বেন কাটিংকেও। সানরাইজ়ার্স হায়দরাবাদ ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে বহু ম্যাচ জিতিয়েছেন অভিজ্ঞ অস্ট্রেলীয় অলরাউন্ডার। নাইটদের জার্সিতে এখনও অভিষেক হয়নি। আরসিবির বিরুদ্ধে নামার আগে প্রস্তুতি ম্যাচে ব্যাট ও বল হাতে দারুণ ছন্দে কাটিং। চতুর্থ বিদেশির জায়গায় তাঁকে দেখা যায় কি না, সময়ই বলবে। শুক্রবারই আবু ধাবি পৌঁছে গেলেন আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারাইন ও টিম সাইফার্ট। দু’টি আরটি-পিসিআর পরীক্ষার ফল নেগেটিভ হলেই অনুশীলনে নেমে পড়বেন তাঁরা। নাইটদের হয়ে খেলার আগে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ খেলে এসেছেন তিন জনেই। আরসিবির বিরুদ্ধে নামার আগে বিশেষ প্রস্তুতির প্রয়োজন তাঁদের নেই। তবুও সংযুক্ত আরব আমিরশাহির পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। মাত্র দু’দিন হাতে পাচ্ছেন তাঁরা।
এ দিনও প্রস্তুতি ম্যাচ চলল নাইট শিবিরে। নজর কাড়লেন রাহুল ত্রিপাঠী। ৯৮ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জেতালেন তিনি। রাহুল এ বার একটি বিশেষ শট রপ্ত করে এসেছেন, যা আগে খুব একটা বেশি তাঁকে মারতে দেখা যায়নি। শরীর লক্ষ্য করে বাউন্সার ধেয়ে এলেই আপার কাট করে দিচ্ছেন তরুণ ব্যাটসম্যান। নীতিশ রানার সঙ্গে ওপেনার হিসেবেই দেখা
হতে পারে তাঁকে।