অশীতিপর চারুলতার ক্রিকেট উন্মাদনায় মুগ্ধ আনন্দ মাহিন্দ্রা
গলায় ত্রিবর্ণ স্কার্ফ। হাতে রঙিন ভেঁপু। কুঞ্চিত বলিরেখা উজ্জ্বল হয়ে উঠছিল প্রতি ফুঁয়ে। মঙ্গলবার বার্মিংহামে বিশ্বকাপের ভারত বাংলাদেশ ম্যাচের সুরকার যদি রবি ঠাকুর হন, তবে গ্যালারির আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু অবশ্যই চারুলতা পটেল। সোশ্যাল মিডিয়ার দাবি, রোহিত বা বুম বুম বুমরা নন, ম্যাচের নায়ক ৮৭ বছরের এই বৃদ্ধাই। হুইলচেয়ারে বসে আগাগোড়া গলা ফাটিয়ে গেলেন ভারতের জন্য। এই ক্রিকেট উন্মাদনার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতে সময় লাগেনি। সময় নেননি বিরাট কোহলিও। বাংলাদেশকে হারানোর পরে ভারত অধিনায়ক নিজে গ্যালারিতে এসে ধন্যবাদ জানিয়ে যান অশীতিপর চারুলতাকে। নেন তাঁর আশীর্বাদ। ততক্ষণে সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল চর্চিত ভারতের এই ভক্ত।
আরও পড়ুন: উইকেট নিয়ে শাকিবকে ‘উড়ন্ত চুমু’ হার্দিকের, টুইটারে হইচই
আরও পড়ুন: সেমিফাইনালে যাবে পাকিস্তান? জটিল অঙ্ক ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ ঘিরে
শুধু তাঁর জন্যই টিভিতে ম্যাচ দেখতে বসেছিলেন আনন্দ মাহিন্দ্রা । সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন শিল্পপতি। বলেছেন তিনি সাধারণত ভারতের ম্যাচ সংস্কারবশত টেলিভিশনে দেখেন না। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় চারুলতা পারেখকে দেখার পরে সংস্কার ভাঙেন মাহিন্দ্রা গোষ্ঠীর প্রধান। ম্যাচের পরে তিনি টুইট করেন ‘সাবাশ ভারত ! দেখো যেন এই ভদ্রমহিলা সেমিফাইনাল ও ফাইনালে অবশ্যই মাঠে থাকেন। ওঁকে বিনামূল্যে টিকিট দাও।’ তাঁর এই টুইটের পাল্টা টুইট প্রচুর আসে। সেখানে জানতে চাওয়া হয়, আনন্দ মাহিন্দ্রা কি ক্রিকেটপাগল বৃদ্ধার জন্য টিকিটের বন্দোবস্ত করবেন? উত্তর দিতে সময় নেননি আনন্দ। চেয়েছেন বৃদ্ধার পরিচয়। যাতে বিশ্বকাপে ভারতের বাকি ম্যাচগুলোর টিকিট তিনি পাঠিয়ে দিতে পারেন। আনন্দ মাহিন্দ্রার এই উত্তরে লাইক পড়েছে দশ হাজারের বেশি।
অশীতিপর চারুলতার ক্রিকেট প্রেমও বেশ কয়েক বসন্ত পুরনো। ১৯৮৩-র বিশ্বকাপ ফাইনালেও তিনি ছিলেন। দেখেছিলেন কপিল দেবের হাতে ভারতের প্রথম ক্রিকেট বিশ্বকাপ। এ বারও ভারতেই যাবে বিশ্বকাপ। বিশ্বাস বৃদ্ধার। রোজ গণপতির সামনে হাতজোড় করে সেটাই বলছেন তিনি।