রিচার্ডসের হাত থেকে নিজেকে কীভাবে বাঁচিয়েছিলেন আক্রম, তা ফাঁস করেছেন প্রাক্তন পাক অধিনায়ক। —ফাইল চিত্র।
ভিভিয়ান রিচার্ডসকে স্লেজিং করেছিলেন ওয়াসিম আক্রম। তার ফল ভুগতে হয়েছিল প্রাক্তন পাক অধিনায়ককে। ড্রেসিং রুমে এসে আক্রমকে ‘খুন’ করে ফেলার হুমকি দিয়েছিলেন ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি।
১৯৮৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গিয়েছিল পাকিস্তান। বার্বাডোজ টেস্টে রিচার্ডস ও আক্রমের মধ্যে বাকযুদ্ধ চলেছিল। রিচার্ডস স্লেজিং করতে নিষেধ করলেও আক্রম তা শোনেননি। সেই ঘটনা প্রাক্তন পাক অধিনায়ক জানিয়েছেন আকাশ চোপড়ার সঙ্গে লাইভ চ্যাটে।
আক্রম বলছেন, ‘‘দিনের শেষ ওভারটা করছিলাম আমি। বেশ জোরেই বল করছিলাম। রিচার্ডসও বুঝতে পারছিল আমাকে সামলানো কঠিন। আমি একটা বাউন্সার দিলাম। কোনওমতে রিচার্ডস সরে গেলেও ওঁর টুপিটা পড়ে গিয়েছিল মাথা থেকে। সেই সময়ে রিচার্ডসের টুপি মাথা থেকে পড়ে যাওয়া বিরাট ব্যাপার ছিল।’’
আরও পড়ুন: কোহালি না রোহিত? বেছে নিলেন জাতীয় দলের প্রাক্তন তারকা
এর পরেই আক্রম এগিয়ে গিয়ে রিচার্ডসকে স্লেজ করে বসেন। ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি নিষেধ করলেও তা নাকি শোনেননি আক্রম। প্রাক্তন পাক বোলারকে উদ্দেশ করে রিচার্ডস ইংরেজিতে বলেন, ‘‘এ রকম কোরো না।”
আক্রম অবশ্য রিচার্ডসের ইংরেজির বিন্দুবিসর্গ বোঝেননি। শুধু ‘ম্যান’ শব্দটা বুঝতে পেরেছিলেন। তৎকালীন পাক অধিনায়ক ইমরান খানকে সবটা বলেন আক্রম। ইমরান সাহস জুগিয়ে আক্রমকে বলেন, ‘‘চিন্তা করার দরকার নেই। ওকে আবার বাউন্সার দাও।’’ ইমরানের কথা মতো আক্রম বাউন্সার দেন। রিচার্ডস ‘ডাক’ করেন। আক্রম ফের স্লেজিং করে বসেন রিচার্ডসকে। দিনের শেষ বলে ইনসুইংয়ে রিচার্ডসকে বোল্ড করে আক্রম বলে ওঠেন, “গো ব্যাক।’’
আরও পড়ুন: কোহালির দলে ‘কমপ্লিট প্যাকেজ’ নেই, ফিল্ডিং নিয়ে মত অসন্তুষ্ট কইফের
রিচার্ডস এত সহজে মেনে নেওয়ার বান্দা ছিলেন না। ড্রেসিং রুমে যাওয়ার কিছু ক্ষণ পরেই আক্রম দেখেন তাঁদের সাজঘরের বাইরে খালি গায়ে ব্যাট হাতে এসে দাঁড়িয়েছেন রিচার্ডস। সেই দৃশ্য দেখে তো দারুণ ভয় পেয়ে যান আক্রম। ছুটে যান অধিনায়ক ইমরানের কাছে। ইমরান তখন আক্রমকে উদ্দেশ করে বলে ওঠেন, “আমি কিছু করতে পারব না। তোমার যুদ্ধ এটা। তুমি গিয়ে সামলাও।’’
আক্রম তো তাঁর অধিনায়কের এ হেন প্রতিক্রিয়ায় অবাক। ইমরানকে বলেন, ‘‘তোমার চেহারা তো বেশ ভাল। তুমি নিজে না গিয়ে আমার মতো রোগা এক জনকে পাঠাচ্ছ রিচার্ডসকে সামলাতে?’’
আক্রম বুঝে যান এই যুদ্ধে তাঁর পাশে নেই কেউ। রিচার্ডসের কাছে গিয়ে তিনি জানান, এ রকম আর কোনও দিন হবে না। আক্রম দুঃখপ্রকাশ করায় রিচার্ডস বলেন, ‘‘ফের যদি তোমাকে এ রকম করতে দেখি, তা হলে খুন করে ফেলব।’’