নজরে: অবিনাশ এখন কোথায় খেলবেন? ফাইল চিত্র
অবিনাশ রুইদাসকে নিয়ে তৈরি হওয়া চুক্তি বিতর্ক নিজেদের জিম্মায় নিয়ে নিল ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন।
আইএফএ-র শাস্তির সিদ্ধান্তকে উড়িয়ে দিয়ে দিল্লির ফুটবল হাউসের তৈরি করা বিশেষ কমিটি জানিয়ে দিল, তাদের কাছে টোকেনের কোনও গুরুত্ব নেই। চুক্তিপত্রই গুরুত্বপূর্ণ এবং আসল। বিতর্ক মেটাতে চুক্তিপত্রই মূল বিচার্য বিষয় হবে।
পরিস্থিতি যা তাতে ফেডারেশনের প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটিই ঠিক করবে বজবজের প্রতিশ্রুতিমান মিডিওর ভবিষ্যৎ। ফেডারেশন প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির বৈঠক ১৬ অগস্ট। শোনা যাচ্ছে, আইএসএলের ক্লাব মুম্বই সিটি এফ সি-তে-ই খেলার সম্ভবনা অবিনাশের। কারণ ইস্টবেঙ্গলের হয়ে যুদ্ধে নামা আইএফএ-ই ব্যাপারটা মিটিয়ে নেওয়ার রাস্তা খুঁজছে।
আইএফএ-র হাত থেকে বিষয়টি ফেডারেশনের হাতে যাওয়ায় অবিনাশ নিজে খুশি। তিনি সেটাই চাইছিলেন। কারণ আইএমজিআরের পক্ষ থেকে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল, ফেডারেশন সচিব কুশল দাশের সঙ্গে কথা বলেই তারা অবিনাশকে নিলামের তালিকায় রেখেছে। স্থানীয় সুভাষ উদ্যানের মাঠে অনুশীলনের পরে অবিনাশ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বলে দিলেন, ‘‘ফেডারেশন যা সিদ্ধান্ত নেবে, আমি তাই মানব। ২০১৭-র ৩ মে পর্যন্ত আমার সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের চুক্তি ছিল। সে জন্যই আমি নিলামে নাম তুলেছিলাম। মুম্বই আমাকে নিয়েছে। খেলার জন্য আমি মুখিয়ে আছি। সে জন্যই অনুশীলন করছি।’’ পাশাপাশি তাঁর মন্তব্য, ‘‘আমি ইস্টবেঙ্গলের কাছে নিয়ম মেনে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট চেয়েছি। ক্ষমা চাইনি। ক্ষমা চাইতে যাব কেন? আমি ভুল করলে তো ক্ষমা চাইতাম।’’ ইস্টবেঙ্গল কর্তারা অবিনাশ নিয়ে কিছু বলতে নারাজ। ক্লাব সূত্রের খবর, কোচ খালিদ জামিল নিজেই অবিনাশকে টিমে আর চাইছেন না। সে কথা তিনি ক্লাবের শীর্ষ কর্তাদের জানিয়েছেন। কোচের কথা শুনে তাই অবিনাশ নিয়ে আর তেমন আগ্রহী নন ক্লাব কর্তারাও। পুরো ব্যাপারটি তাঁরা ছেড়ে দিতে চাইছেন আইএফএ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায়ের উপরে।
আরও পড়ুন: চাপেকোয়েনসের নিহত ফুটবলারদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন বার্সার
ফেডারেশনের সিদ্ধান্ত জেনেও কিছু বলতে নারাজ উৎপল। বারবার ডাকা সত্ত্বেও আইএফএ-র কোনও সভায় আসেননি অবিনাশ। সরাসরি চিঠি লিখেছেন ফেডারেশনকে। এখন যা পরিস্থিতি, তাতে ফেডারেশনের চাপে হস্তরেখা বিশারদদের কাছেও আর চুক্তিপত্র পাঠাচ্ছে না আইএফএ। যা থেকে পরিষ্কার, অবিনাশের মুম্বই সিটি এফ সি-তে খেলা শুধু সময়ের অপেক্ষা।