কল্যাণ চৌবে। —ফাইল চিত্র।
ভারতীয় ফুটবল এবং সার্বিক ভাবে দেশের খেলাধুলোর উন্নতিতে গুজরাতকে সামনে রেখে এগোতে চাইছেন কল্যাণ চৌবে। যে ভাবে ক্রীড়াক্ষেত্রের উন্নতিতে গুজরাত এগিয়ে যাচ্ছে তা দেখে উচ্ছ্বসিত সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন (এআইএফএফ)-এর সভাপতি কল্যাণ চৌবে। তিনি ইন্ডিয়ান অলিম্পিক্স অ্যাসোসিয়েশনের (আইওএ) যুগ্ম সচিবও।
২০১০ সালে গুজরাতে শুরু হয়েছিল ‘খেল মহাকুম্ভ’। তখন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদী। তিনিই এই প্রতিযোগিতা চালু করেছিলেন। পরবর্তীতে দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে তিনি জাতীয় স্তরে একই মডেলে শুরু করেন ‘খেলো ইন্ডিয়া।’ সম্প্রতি আমদাবাদে গুজরাত অলিম্পিক্স সংস্থার কর্তাদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন কল্যাণ।
অলিম্পিক্স সংস্থার কর্তাদের সঙ্গে দেখা করার পাশাপাশি গুজরাত সুপার লিগ ফুটবলের উদ্বোধনও করেন কল্যাণ। তিনি বললেন, “খেল মহাকুম্ভ গুজরাতের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে ক্রীড়াবিদদের তুলে আনতে সাহায্য করেছে। প্রতিটা শহর, গ্রাম এই প্রতিযোগিতা থেকে উপকৃত হয়েছে। প্রতি বছর প্রায় ৫০ লক্ষ প্রতিযোগী অংশ নিচ্ছে। ১ লক্ষ ৬০ হাজার প্রতিযোগী পুরস্কার পাচ্ছে। এই খেলার জন্য ৪০ কোটি টাকা পুরস্কারমূল্য বরাদ্দ করেছে গুজরাত সরকার।”
‘খেল মহাকুম্ভ’-এ থাকে ২৮টি বিভাগ। রাজ্যের সাতটি জায়গায় হয় প্রতিযোগিতা। এই প্রতিযোগিতা শেষে ৭ হাজার ক্রীড়াবিদকে প্রশিক্ষণ দেয় গুজরাত সরকার। তার ফলেই সে রাজ্যের খেলাধুলো এতটা উন্নত হয়েছে বলে জানিয়েছেন কল্যাণ। তিনি বললেন, “মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন নরেন্দ্র মোদী এই প্রতিযোগিতা শুরু করেছিলেন। ফলে রাজ্যের ছেলে-মেয়েরা উপকৃত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে ২০১৪ সাল থেকে তিনি খেলো ইন্ডিয়া শুরু করেন। তাতে দেশের ক্রীড়াবিদেরা উপকৃত হচ্ছে। কমনওয়েলথ, এশিয়ান গেমসের মতো প্রতিযোগিতায় সেটা আমরা দেখতে পাচ্ছি। ভারত অনেক বেশি পদক পাচ্ছে।”