এ বার অন্য ভূমিকায় আনন্দ ফাইল চিত্র
এ বার অন্য ভূমিকায় দেখা যেতে পারে বিশ্বনাথন আনন্দকে। আন্তর্জাতিক দাবা সংস্থার নির্বাচনে সহ-সভাপতি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনি। আনন্দকে সমর্থন জানিয়েছে সর্বভারতীয় দাবা সংস্থা (এআইসিএফ)। আন্তর্জাতিক দাবা সংস্থার সভাপতি আরকাডি ডরকোভিচের গোষ্ঠীর হয়ে নির্বাচনে লড়বেন আনন্দ।
আনন্দের প্রতিদ্বন্দ্বিতা ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। সংবাদমাধ্যমের সামনে কয়েকটি ই-মেল আসে। সেখানে দাবি করা হয়, আন্তর্জাতিক দাবা সংস্থায় সহ-সভাপতি পদের জন্য লড়তে পারেন ভরত সিংহ চৌহান। কোন ভরত সিংহ চৌহান? যাঁকে সম্প্রতি সর্বভারতীয় দাবা সংস্থার সচিব পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে দিল্লি হাই কোর্ট। এই দাবি ভুয়ো বলে জানিয়েছে সর্বভারতীয় দাবা সংস্থা।
ভরত সরে যাওয়ার পরে এআইসিএফের সচিব হয়েছেন বিপনেশ ভরদ্বাজ। তিনি এই প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘‘ই-মেলের বিষয়টি বিরোধীদের চক্রান্ত। তারা দাবার উন্নতি চায় না। কেবল নিজেদের উদ্দেশ্য পূরণ করতে চায়। এআইসিএফ ও দেশের সম্মান নষ্ট করতে চায়। দাবা সংস্থার তরফে ভরতকে নিয়ে কোনও দাবি করা হয়নি। বরং আনন্দকেই সমর্থন করছি আমরা।’’
ভরতের সমর্থনে যে ই-মেলের কথা উঠে এসেছে তাতে লেখা ছিল, আন্তর্জাতিক দাবা সংস্থায় সহ-সভাপতি পদে যোগ্য ব্যক্তি ভরত। সর্বভারতীয় দাবা সংস্থা তাঁকে সমর্থন করেছে। দেশের দাবা প্রতিযোগীদের কাছে আবেদন, তাঁরাও যেন ভরতকে সমর্থন করেন। এই ই-মেল ভুয়ো বলে দাবি করেছেন ভরত নিজেই। তিনি বলেন, ‘‘এআইসিএফ প্রথম সংস্থা যারা আনন্দকে সমর্থন করেছিল। আন্তর্জাতিক দাবা সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী, একটি দেশের সংস্থা থেকে এক জনই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে। এক বার মনোনয়ন জমা দেওয়ার পরে নাম প্রত্যাহার করা যাবে না। আমরা আনন্দকে পূর্ণ সমর্থন করেছি।’’
ভারতীয় দাবার জন্য আনন্দের প্রশাসনে থাকা প্রয়োজন বলেও জানিয়েছেন ভরত। তিনি বলেছেন, ‘‘আনন্দ কিংবদন্তি। ও আন্তর্জাতিক দাবায় থাকলে সেটা ভারতীয় দাবার পক্ষে ভাল। তা হলে কেন আমরা ওর বিরুদ্ধে দাঁড়াব। আমাদের লক্ষ্য ভারতীয় দাবার উন্নতি। সেই কাজের জন্য আনন্দ যোগ্য ব্যক্তি।’’
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।