মেজাজ: হপম্যান কাপ দিয়েই এ বছরের শুরুতে ফিরেছিলেন কোর্টে। বছর শেষে সেই পার্থে ফিরে রজার ফেডেরার দেখা পেয়ে গেলেন কুয়োকাদের। যাদের সঙ্গে ছবি তোলার ইচ্ছে অবশেষে পূরণ হল টেনিস কিংবদন্তির। গেটি ইমেজেস।
এক বছর আগে তাঁর রাজকীয় প্রত্যাবর্তন যেখান থেকে শুরু হয়েছিল, সেই অস্ট্রেলিয়ায় পা রেখে রীতিমতো চনমনে রজার ফেডেরার। তবে মেলবোর্নে নয়, ফেডেরার এসেছেন পার্থে। আর সেখানে পা দিয়েই এত দিনের একটা ইচ্ছে পূরণ করে ফেলেছেন টেনিস কিংবদন্তি। কুয়োকার সঙ্গে একটা সেলফি তোলা।
কুয়োকা— বিড়ালের আয়তনের একটা ছোট্ট প্রাণী। অনেকটা ক্যাঙ্গারুর মতো দেখতে। যার সঙ্গে সেলফি তুলে রীতিমতো উত্তেজিত ফেডেরার। তিনি বলে দিয়েছেন, ‘‘কুয়োকা দেখতে পেয়ে দারুণ লাগল। গত বছর এখানে এসেছিলাম ওদের দেখব বলে। কিন্তু দেখতে পাইনি। আমি তো ভেবেছিলাম ইঁদুরের মতো কোনও প্রাণী হবে। আদতে দেখলাম বাচ্চা ক্যাঙ্গারুর মতো। দারুণ লাগল।’’
কুয়োকা দেখতে পেয়ে ফেডেরার যতটা না উত্তেজিত, তাঁকে র্যাকেট হাতে কোর্টে নামতে দেখলে তার চেয়ে কম উত্তেজিত হবেন না টেনিস ভক্তেরা। ২০১৬ সালে চোটের জন্য প্রায় অনেকটা সময়ই কোর্টের বাইরে কাটানোর পরে এ বছরের গোড়ায় পার্থে এই হপম্যান কাপ টেনিস দিয়েই কোর্টে ফেরেন ফেডেরার। বছরের শেষে সেই হপম্যান কাপ মঞ্চে আবার ফিরে এসে ফেডেরার বলছিলেন তাঁর প্রত্যাবর্তনের কাহিনি।
ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইয়ে ফেডেরারের মন্ত্র ছিল রিল্যাক্সড থাকা, সুস্থ থাকা। বৃহস্পতিবার ফেডেরার বলছিলেন, ‘‘সত্যি বলতে কী, ৩৬-৩৭ বছর বয়সে এসে আমি যে এ রকম টেনিস খেলতে পারব, তা ভাবিনি। আমার ফর্মুলাটা সহজ ছিল। সুস্থ থাকা, ম্যাচ ফিট থাকা। চেষ্টা করেছি খেলাটাকে সব সময় উপভোগ করতে। আর দেখেছি যাতে ঠিকমতো বেছে বেছে টুর্নামেন্টগুলো খেলতে পারি।’’
আগের বছর দু’টো গ্র্যান্ডস্ল্যাম জিতেছিলেন। স্বপ্নের প্রত্যাবর্তনের পরে কি কোনও ভাবে অবসরের ভাবনা এখন মাথায় আছে? ফেডেরার উড়িয়ে দিচ্ছেন। বলেছেন, ‘‘এই বয়সে এসেও আমি এখনও টেনিস উপভোগ করে চলেছি। যে দিন উপভোগ করব না, সে দিন বিদায় নেব। কিন্তু সেই দিনটা এখনও আসেনি।’’ নিজের টেনিস নিয়ে ফেডেরারের বক্তব্য, ‘‘অফ সিজনে আমি কয়েকটা জিনিসের ওপর নজর দিয়েছিলাম। যেমন আরও আগ্রাসী হওয়া, নিজের সার্ভে পয়েন্ট তোলা। দেখা যাক এ বার কোর্টে কী হয়।’’ পার্থে পৌঁছেই ফেডেরার হেলিকপ্টার করে চলে যান রটনেস্টে। সেখান থেকে প্যারাকিট বে-তে। যেখানে সমুদ্রসৈকতে দাঁড়িয়ে ভক্তদের সঙ্গে ছবিও তোলেন ফেডেরার। তাঁদের সঙ্গে র্যাকেট হাতে নেমেও পড়েন। এর পর চলে যান তাঁর ইচ্ছাপূরণ করতে। অর্থাৎ কুয়োকাদের সঙ্গে সেলফি তুলতে।