অতিথি: রাজারহাটে ক্রীড়া সংগ্রহশালায় অভিনব বিন্দ্রা। —নিজস্ব চিত্র।
আথেন্স অলিম্পিক্সে ব্যর্থতার পরে শুটিং ছেড়ে দেওয়ার কথা ভেবেছিলেন অভিনব বিন্দ্রা!
শনিবার কলকাতায় এসেছিলেন অলিম্পিক্সে ব্যক্তিগত ইভেন্টে ভারতের একমাত্র সোনাজয়ী ক্রীড়াবিদ। নিউ টাউনে ‘ফ্যানাটিক স্পোর্টস মিউজিয়াম’-এ প্রথম বার লেকচার দিতে এসে বললেন, ‘‘২০০৪ সালে আথেন্স অলিম্পিক্সে আমি সপ্তম হয়েছিলাম। হতাশায় অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলাম। আমার সামনে তখন দু’টো রাস্তা খোলা ছিল। শুটিং ছেড়ে দেওয়া। নয়তো ব্যর্থতাকে দুর্ভাগ্য বলে মেনে নিয়ে খেলা চালিয়ে যাওয়া। আমি অবশ্য তৃতীয় পথটা বেছে নিয়েছিলাম।’’
কী সেটা? অভিনব বললেন, ‘‘আথেন্সে ব্যর্থতার ময়নাতদন্ত করতে গিয়ে আবিষ্কার করলাম, শুটিংয়ের সময় পায়ের পজিশন ঠিক ছিল না বলেই লক্ষ্যভ্রষ্ট হই। ঠিক করলাম, এ বার থেকে প্রতিকূল পরিবেশে অনুশীলন করব।’’
কী সেই অনুশীলনের পদ্ধতি?
অভিনব বললেন, ‘‘আমার বাড়ির শুটিং রেঞ্জে অনুশীলন করতাম কখনও কম আলোয়। কখনও আবার উজ্জ্বল আলোর মধ্যে। শুধু তাই নয়, আলোগুলো এমন ভাবে লাগানো ছিল, যাতে টার্গেটের উপর ছায়া পড়ে। এ ভাবে অনুশীলন করেই আমি ঘুরে দাঁড়িয়েছিলাম।’’ চার বছর পরে বেজিং অলিম্পিক্সেই সোনা জেতেন তিনি।