— প্রতীকী চিত্র।
ম্যালেরিয়ার প্রকোপ কোনও অবস্থাতেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না কুমারগ্রামে। এই অবস্থায়, গোটা পরিস্থিতি সামাল দিতে ওই ব্লকে গণ সমীক্ষা শুরু করল স্বাস্থ্য দফতর। সেই সার্ভে করতে গিয়েই এক দিনে নতুন করে জয়ন্তী চা বাগানে ১৪ জন ম্যালেরিয়া আক্রান্ত রোগীর সন্ধানও মিলল। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, তাদের প্রত্যেকেরই চিকিৎসা শুরু হয়েছে।
আলিপুরদুয়ারে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলছে। স্বাস্থ্য দফতরের হিসাব অনুযায়ী, শেষ এক সপ্তাহে মশাবাহিত এই রোগে জেলায় প্রায় ৯০জন আক্রান্ত হয়েছেন। যাদের মধ্যে কুমারগ্রাম ব্লকে আক্রান্তের সংখ্যা সব চেয়ে বেশি। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, জেলায় ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা এই মুহূর্তে ৪১৫ জনে পৌঁছেছে। যার মধ্যে কুমারগ্রামে আক্রান্তের সংখ্যা তিনশো ছাড়িয়ে গিয়েছে। আলিপুরদুয়ারের উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুপ্রিয় চৌধুরী জানান, কুমারগ্রামের যে সব এলাকায় ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বেশি দেখা যাচ্ছে, সেখানে সমীক্ষার কাজ চলবে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, এই সমীক্ষা চালিয়ে সোমবার ছ’শো জনের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ১৪ জনের ম্যালেরিয়া ধরা পড়ে। গত এক সপ্তাহে কালচিনি পঞ্চায়েতেও ম্যালেরিয়ায় ১১জন আক্রান্ত হয়েছেন বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। অধিকাংশই চিনচুলা চা বাগানের। মঙ্গলবার চিনচুলা চা বাগান-সহ আশপাশের একাধিক এলাকায় অভিযান চালালো গ্রামীণ সম্পদ ও স্বাস্থ্য কর্মীদের দল। স্বাস্থ্য দফতরের হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছর কালচিনি ব্লকে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৫জন। গত কয়েক বছরের তুলনায় অনেকটাই বেশি। কালচিনি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক শ্রীকান্ত মণ্ডল বলেন, “রোগ নিয়ন্ত্রণে রক্ত পরীক্ষা থেকে শুরু করে, সবাইকে সচেতন করছি। মানুষকেও সতর্ক হতে হবে।”