মগ্ন: রানে ফিরতে মরিয়া অভিমন্যু। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
কর্নাটকের বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনালে ছন্দে ফিরতে মরিয়া অভিমন্যু ঈশ্বরন। বুধবার বাংলার অনুশীলন না থাকলেও নিজের তাগিদে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সল্টলেক ক্যাম্পাসের মাঠে অনুশীলন করেন বাংলার অধিনায়ক। তাঁকে সঙ্গ দেন চোট সারিয়ে ফিরে আসা পেসার আকাশ দীপ।
এ দিন সকালে ফিজিক্যাল ট্রেনার সঞ্জীব দাসের সঙ্গে জিমে সময় কাটান অভিমন্যু। দুপুরে চলে আসেন মাঠে। আকাশ তখন নেটের পাশে গা ঘামিয়ে নিচ্ছিলেন। তাঁদের যে পিচ দেওয়া হয়েছিল, তা একেবারে সবুজ। ইয়র্কার, বাউন্সার, ইনসুইং, লেগকাটারগুলো একে একে ঝালিয়ে নিচ্ছিলেন তরুণ পেসার। সতীর্থের আগুনে গতি সামলেই অধিনায়ক নিজেকে তৈরি করছিলেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ, অভিমন্যু মিঠুনদের জন্য। কিন্তু অভিমন্যু উপলব্ধি করেন, পিচ কিছুটা ভেজা। আকাশের কয়েকটি বল অসমান বাউন্স করতেও দেখা যায়।
অধিনায়ক সময় নষ্ট করেননি। পাশের একটি নেটে কংক্রিটের উপরে বিছিয়ে দেওয়া ছিল ম্যাট। সেখানে অনুশীলন করছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্র। তাঁদের অনুরোধ করেন, ম্যাটে প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ দিতে। বাংলার অধিনায়কের অনুরোধ ফেলতে পারেননি দুই ছাত্র। কংক্রিটে বিছানো ম্যাটের উপরেই শুরু হয় তাঁর প্রস্তুতি।
একেই ম্যাটে বল পড়ে দ্বিগুণ গতিতে ব্যাটসম্যানের দিকে ধেয়ে আসে। তার উপরে নীচে কংক্রিট। গতির সঙ্গে বলকে বাউন্স করতেও সাহায্য করে। কিন্তু অসমান বাউন্সের আতঙ্ক থাকে না। অভিমন্যুও উপলব্ধি করেন, ম্যাটের উপরে অনুশীলন করার উপকার। প্র্যাক্টিস শেষে অধিনায়ক বলছিলেন, ‘‘ইডেনে গতিময় পিচ পাব। এখানেও তাই সবুজ পিচে ব্যাট করি। পরের দিকে অসমান বাউন্স হচ্ছিল। তাই ম্যাটে প্রস্তুতি নিয়েছি।’’ যোগ করেন, ‘‘ম্যাটে বলের গতি একটু বেড়ে যায়। কিন্তু বাউন্স অসমান হয় না।’’
আকাশ দীপের বোলিং দেখে বলে দেওয়াই যায়, ইডেনে কর্নাটকের বিরুদ্ধে তিনি অনায়াসে ফিরবেন। শুরুর কয়েকটি বল গতি কমিয়ে করলেও পরের দিকে স্বাভাবিক বোলিং শুরু করেন। পাশে দাঁড়িয়ে তরুণ পেসারের উপরে নজর রাখছিলেন বাংলার ফিজিয়ো উসমান। বারবার জানতে চাইছিলেন, তাঁর কোনও অসুবিধা হচ্ছে কি না।
২৩ বছর বয়সি পেসার প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাসী। বিপক্ষে কে এল রাহুল, মণীশ পাণ্ডে, করুণ নায়ারের মতো ব্যাটসম্যানদের নাম শুনে অনেকেই চাপে পড়ে যেতে পারেন। কিন্তু আকাশের হুঙ্কার, ‘‘ভাল বল করলে যে কোনও ব্যাটসম্যানই আউট হবে। সে রাহুলই হোক আর পাণ্ডে। ক্রিকেট খাতায় কলমে খেলা হয় না। আমাদের মতো ওদেরও পরীক্ষা দিতে হবে বাইশ গজে। সেখানেই দেখা যাবে কার কী ক্ষমতা।’’ আজ, বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতায় পা রাখছেন রাহুলরা। মাত্র এক দিন অনুশীলন করবেন। একই দিনে শহরে চলে আসবেন মণীশ পাণ্ডে, করুণ নায়াররা। বাংলা যদিও আজ সকাল থেকে জোরকদমে অনুশীলন শুরু করে দেবে।
বাংলার ম্যাচে মাঠ ভরানোর জন্য বিভিন্ন ক্লাব, কোচিং ক্যাম্প ও জেলার ক্রিকেটারদের খেলা দেখতে আসার আবেদন করেছে সিএবি। এমনকি বাংলার জার্সি পরেও মাঠে আসতে দেখা যেতে পারে তাদের। সমর্থকদের জন্য প্রত্যেকটি গ্যালারি খোলা থাকবে। বিনামূল্যেই খেলা দেখতে পাবেন প্রত্যেকে।