নায়ক: ম্যাচের সেরার পুরস্কার নিচ্ছেন অভিজিৎ। নিজস্ব চিত্র
সিএবির দ্বিতীয় ডিভিশন ক্রিকেট লিগে হ্যাটট্রিক করলেন মোহনলাল ক্লাবের লেগস্পিনার অভিজিৎ মিশ্র। মঙ্গলবার দেশবন্ধু পার্ক মাঠে ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাবের বিরুদ্ধে এই দুরন্ত পারফরম্যান্স অভিজিতের। যদিও ডান হাতি লেগস্পিনারের এই নিয়ে ময়দানে চতুর্থ হ্যাটট্রিক।
ভিক্টোরিয়া ক্লাবের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ ব্যাটসম্যানকে পরপর তিন বলে ফিরিয়ে দিয়ে চমক চুঁচুড়ার ২৯ বছরের ক্রিকেটারের। ম্যাচ শেষে তিনি ফোনে বলেন, ‘‘এর আগেও আমি তিন বার হ্যাটট্রিক করেছি। তবে আমার কাছে এই হ্যাটট্রিকটাই সেরা। কারণ দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠতে গেলে এই ম্যাচ জেতা আমাদের জন্য খুব জরুরি ছিল।’’ ভিক্টোরিয়ার বিরুদ্ধে একই দিনে শেষ হয়ে গেল মোহনলালের ম্যাচ। প্রথমে ব্যাট করে ৫৯.৪ ওভারে ১৬৮ রানে অল আউট হয়েছে ভিক্টোরিয়া। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২৫.৫ ওভারে এক উইকেট হারিয়ে ১৭২ রান তুলে নিয়েছেন মোহনলালের ব্যাটসম্যানরা। মরসুমের শুরু থেকেই নিয়মিত উইকেট পাচ্ছেন অভিজিৎ। সাত ম্যাচে এখনও পর্যন্ত ৩২ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ভিক্টোরিয়ার বিরুদ্ধে অভিজিতের বোলিং পরিসংখ্যান ২০-৭-৪৯-৪। এর আগের ম্যাচে দেশপ্রিয় পার্কে এক্সেলসিয়ার্সের বিরুদ্ধে সাত উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। তবে এই ম্যাচে একটুর জন্য পাঁচ উইকেট হয়নি অভিজিতের।
এ দিন ম্যাচে নেমে দ্রুত প্রথম দু’উইকেট পাওয়ার পরে হ্যাটট্রিক পাবেন ভেবেছিলেন? উত্তরে অভিজিৎ বলেন, ‘‘শুরু থেকেই আমার বল ভাল ঘুরছিল। তাই প্রথম বল থেকেই বাড়তি আত্মবিশ্বাস পাচ্ছিলাম। পরপর দু’উইকেট পেতেই আগের হ্যাটট্রিকের কথা মনে পড়ছিল। তৃতীয় উইকেটটা পাওয়ার পরের অনুভূতিটা সত্যিই প্রকাশ করতে পারব না।’’
ভারতীয় ক্রিকেটে লেগস্পিনার অমিত মিশ্রর ভক্ত অভিজিৎ। তিনি মনে করেন, ফ্লাইট ঠিকঠাক কাজে লাগাতে পারলেই আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে একজন লেগস্পিনার। সেই মন্ত্র মেনে চলেন তিনি ম্যাচে। তাই ময়দানের ছোট মাঠেও বলকে ফ্লাইট দিতে ভয় পান না অভিজিৎ। ‘‘মার খেলেই একজন লেগস্পিনার আরও বিষাক্ত হয়ে উঠবে। ব্যাটসম্যানরা লেগ স্পিনারকে মারতে গিয়েই আউট হয়। অমিত মিশ্রকে দেখেই আমি এ ভাবে ফ্লাইট দেওয়ার সাহস পেয়েছি, বলেন হ্যাটট্রিকের নায়ক।’’ যিনি অনূর্ধ্ব-১৫ ও অনূর্ধ্ব-১৯ বাংলা দলে এক সময়ে ছিলেন।