জন্টির সেই রান আউট। —ফাইল চিত্র।
ফিল্ডিং করার সময় মাঠে পাখি হয়ে উড়তেন জন্টি রোডস। ১৯৯২ বিশ্বকাপে ইনজামাম উল হককে শরীর ছুড়ে রান আউট করেছিলেন তিনি। সেই রান আউট দেখেই ক্রিকেটের প্রতি প্রবল আগ্রহ জন্মেছিল এবি ডিভিলিয়ার্সের। সে কথা স্বীকার করেছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান।
১৯৯২ বিশ্বকাপের সময়ে এবিডি-র বয়স মাত্র আট। আর সেই বয়সে জন্টির বিখ্যাত রান আউট দেখার পরে তা অনুকরণ করার চেষ্টা করতেন ডি ভিলিয়ার্স। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলছেন, ‘‘ছোটবেলা থেকেই জন্টি রোডসের প্রভাব আমার উপরে পড়েছিল। ১৯৯২ সালে আমার বয়স আট। টিভিতে লাইভ দেখেছিলাম সেই রান আউট। তার পর থেকে সেই রান আউট নিয়মিত প্র্যাকটিস করতাম। ঘাসের মাঠে প্র্যাকটিস করতাম। শরীরের বিভিন্ন অংশ কেটে গিয়ে রক্ত ঝরত। কিন্তু অনুশীলন থামাইনি। আমার জীবনের আক্ষেপ ও রকম রান আউট আমি করতে পারিনি। কিন্তু ওই রান আউটটা মাঠের ভিতরে আমাকে এখনও স্পেশাল কিছু করার প্রেরণা জোগায়। জন্টিও তো সেরকমই খেলত। আমিও সে ভাবেই খেলার চেষ্টা করে গিয়েছি।’’
ব্যাট হাতে ডি ভিলিয়ার্স অবিশ্বাস্য সব ঘটনা ঘটিয়েছেন। ফিল্ডিংয়ের সময়ে এক হাতে দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেছেন, অবিশ্বাস্য সব রান আউট করেছেন। যাঁর প্রভাব তাঁর জীবনে অনেকটাই, সেই জন্টি রোডসকে প্রথমবার সামনে থেকে দেখে বিহ্বল হয়ে গিয়েছিলেন এবি।
আরও পড়ুন: করোনা পজিটিভ স্নেহাশিস, কোয়রান্টিনে সৌরভ-সহ পরিবার
তার বছর দুয়েক পরে দক্ষিণ আফ্রিকা জাতীয় দলের ফিল্ডিং কোচ হয়েছিলেন জন্টি। সেই প্রসঙ্গে ডিভিলিয়ার্স বলছেন, ‘‘স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মতো ব্যাপার ছিল। ক্রিকেট ট্যুরে গিয়ে জন্টির সঙ্গে কত টেনিস খেলেছি। ও আমার খুব ভাল বন্ধু।’’
জন্টিও তাঁর অনুজ এবি ডিভিলিয়ার্সের ফিল্ডিংয়ের প্রশংসা করে বলেছেন, ‘‘সুরেশ রায়নার ফিল্ডিং আমার ভাল লাগে। জন্টি রোডসের পরে আমার দেখা সেরা ফিল্ডার এবি ডিভিলিয়ার্স।’’