মিলার প্রতিদিনই শিখছেন

জনসনের চ্যালেঞ্জ ডে’ভিলিয়ার্সকে আটকানো

একটা চ্যালেঞ্জ শেষ হয়েছে। বিশ্বকাপ জেতার। সপ্তাহ দু’য়েকের মধ্যেই সামনে আর একটা চ্যালেঞ্জ, আইপিএলের। তবে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের তারকা বোলার মিচেল জনসনের আরও একটা চ্যালেঞ্জও থাকছে, এবি ডে’ভিলিয়ার্স। অস্ট্রেলীয় ফাস্ট বোলারের কাছে সব রকমের ফর্ম্যাটে সেরা ব্যাটসম্যান এখন দক্ষিণ আফ্রিকান তারকাই। ‘‘এখন সবচেয়ে কঠিন ডে’ভিলিয়ার্সকে বল করা। গত দু’বছর ধরে ও দুরন্ত খেলছে। সব ফর্ম্যাটেই নিজেকে সেরা হিসেবে তুলে ধরেছে।’’

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০১৫ ০৪:১২
Share:

অবসরে ক্যারমে বুঁদ জনসন, মিলার, অক্ষর ও সহবাগ। ছবি টুইটার

একটা চ্যালেঞ্জ শেষ হয়েছে। বিশ্বকাপ জেতার। সপ্তাহ দু’য়েকের মধ্যেই সামনে আর একটা চ্যালেঞ্জ, আইপিএলের। তবে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের তারকা বোলার মিচেল জনসনের আরও একটা চ্যালেঞ্জও থাকছে, এবি ডে’ভিলিয়ার্স।

Advertisement

অস্ট্রেলীয় ফাস্ট বোলারের কাছে সব রকমের ফর্ম্যাটে সেরা ব্যাটসম্যান এখন দক্ষিণ আফ্রিকান তারকাই। ‘‘এখন সবচেয়ে কঠিন ডে’ভিলিয়ার্সকে বল করা। গত দু’বছর ধরে ও দুরন্ত খেলছে। সব ফর্ম্যাটেই নিজেকে সেরা হিসেবে তুলে ধরেছে।’’ সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘‘এবিকে বল করাটা সবসময়ই চ্যালেঞ্জের। অনেকে এবিকে বল করার চ্যালেঞ্জটা নিতে ভালবাসে। অবশ্য এটাও মাথায় রাখতে হবে টি-টোয়েন্টিতে যে কোনও ভাল ব্যাটসম্যান জ্বলে উঠতে পারে।’’

ঘটনাচক্রে জনসনের সতীর্থ ডেভিড মিলারও দক্ষিণ আফ্রিকান। যাঁর ব্যাটের দাপট গতবারের মতো ফাইনালে পৌঁছতে প্রধান ভরসা কিংস ইলেভেনের। মিলার আবার নিজের ব্যাটিংকে আরও উন্নত করার লক্ষ্য নিয়ে এ বারও নামবেন। দু’বছর আগে আইপিএলে ৩৮ বলে বিস্ফোরক সেঞ্চুরি তাঁর ব্যাটিংয়ে প্রভাব ফেলেছিল। আত্মবিশ্বাস, চাপ সামলানোর অভিজ্ঞতা বেড়েছে। সে রকমই প্রতিদিন ব্যাটিংকে আরও মেলে ধরতে চান মিলার। কিংস ইলেভেনের হয়ে তৃতীয় মরসুম আইপিএলে নামার আগে কোনও পরিবতর্ন লক্ষ করছেন কি না প্রশ্নে তাই মিলার বলে দেন, ‘‘অবশ্যই। আমার ব্যাটিং আরও উন্নত হয়েছে। ঠিক জিনিসটা ঠিক সময় করতে পেরে নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে শিখেছি। তবে এখনই সব শিখে ফেলেছি সেটা বলছি না। প্রতিদিনই আমি শিখছি।’’

Advertisement

ডে’ভিলিয়ার্সদের রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে জেতাতে হলে পঞ্জাবের মিলারের মতো ফর্মে চাই জনসনকেও। কিন্তু সদ্যই বিশ্বকাপ জিতে উঠে এত দ্রুত ওয়ান ডে থেকে তিনি টি-টোয়েন্টিতে মানিয়ে নিতে পারবেন তো? ‘‘ওয়ান ডে থেকে টি-টোয়েন্টিতে মানিয়ে নিতে হলে পরিকল্পনার বিরাট হেরফের করতে হয় বলে আমার মনে হয় না। আমরা এক সপ্তাহ আগেই তো বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলে উঠলাম। এখন আইপিএল খেলব। আইপিএলের পর আবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টেস্টে নামতে হবে। দ্রুত মানিয়ে নেওয়ার মতো জায়গায় নিজেকে নিয়ে যেতেই হয়।’’

কিন্তু সেটা কী করে করেন? জনসনের কাছে দ্রুতগতিতে বল করাটা গুরুত্বপূর্ণ। ‘‘ঠিক জায়গায় বলটা যদি ১৪০ কিমি বা তারও বেশি গতিতে রাখার ক্ষমতা থাকে, যে কোনও ব্যাটসম্যানেরই খেলতে সমস্যা হবে।’’ সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘‘তবে এখন তো ক্রিকেটের গতি অনেক বেড়ে গিয়েছে। প্রচুর রানও উঠছে। এই অবস্থায় বোলারকে স্মার্ট হতে হবে। বোলিংয়ে প্রচুর বৈচিত্র আনতে হবে। ইয়র্কার করার ক্ষমতা থাকতে হবে।’’ মিলার আবার মনে করেন আইপিএলে একই দল ধরে রাখাটা তাঁর টিমকে সাহায্য করবে, ‘‘সাফল্য পেতে হলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল প্রাথমিক ব্যাপারটা ঠিক রাখা। আমাদের সুবিধে একই দল থাকাটা। তাতে স্ট্র্যাটেজি ঠিক করতে সুবিধে হয়। গত বারের পারফরম্যান্সটা আমাদের ধরে রাখতে হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement