পূজারা: শেখার আছে অনেক

বাকি রয়েছে খেলার গোটা একটা দিন। রবিবার টেস্টের শেষ দিন। তবে প্রশ্ন ওঠার কারণ বিশাখাপত্তনমের আবহাওয়া।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০১৯ ০৩:১৩
Share:

— ফাইল চিত্র

ভারতীয় দল সঠিক সময়েই ডিক্লেয়ার করেছে বলে দাবি করছেন চেতেশ্বর পূজারা। চতুর্থ দিনের খেলা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে আসেন দলের অগ্রজ ব্যাটসম্যান। তত ক্ষণে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে, বিরাট কোহালি ঠিক সময়ে ডিক্লেয়ার করলেন কি না। ভারত দ্বিতীয় ইনিংসে ৬৭ ওভার ব্যাট করে ৩২৩-৪ তুলে ইনিংস ছাড়ে। দক্ষিণ আফ্রিকাকে শেষ এক ঘণ্টা ব্যাট করতে দেন কোহালি।

Advertisement

বাকি রয়েছে খেলার গোটা একটা দিন। রবিবার টেস্টের শেষ দিন। তবে প্রশ্ন ওঠার কারণ বিশাখাপত্তনমের আবহাওয়া। বৃষ্টির আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না এবং আবহাওয়া বিঘ্ন ঘটালে না কথা ওঠে, দেরিতে ডিক্লেয়ার করা হল কি না। পূজারাকে জিজ্ঞেস করা হয়, সঠিক সময়েই কি ডিক্লেয়ার করা হয়েছে বলে মনে করেন? পূজারার জবাব, ‘‘হ্যাঁ, একদম ঠিক সময়েই ইনিংস ছাড়া হয়েছে। আমরা চাইনি এ দিনই খুব বেশি ওভার বল করতে। তা হলে শেষ দিন সকালে অপেক্ষাকৃত নরম বলে বোলিং করতে হত আমাদের বোলারদের।’’ তাঁর ব্যাখ্যা, ‘‘শেষ দিনের সকালের জন্য আমরা বলটাকে শক্ত রাখতে চেয়েছি। বল নরম হয়ে গেলে ব্যাটসম্যানদের কাজ সহজ হয়ে যায়।’’ ৯ ওভারের মধ্যে এ দিনই অবশ্য দক্ষিণ আফ্রিকার মূল্যবান উইকেট তুলে নিতে পেরেছে ভারত। রবীন্দ্র জাডেজা ফিরিয়ে দিয়েছেন প্রথম ইনিংসে ১৬০ রান করা বাঁ হাতি ওপেনার ডিন এলগারকে। স্বস্তির ছাপ পূজারার গলাতেও, ‘‘আমরা গুরুত্বপূর্ণ একটা উইকেট তুলে নিয়েছি। দল হিসেবে সারা দিনের খেলায় আমরা খুশি।’’ সারা দিনের ঘটনাবলীর মধ্যে পূজারার ৮১ রানও রয়েছে। দ্রুত রান করতে হবে এমন পরিস্থিতিতে এই রান তিনি করেন ১৪৮ বলে। মারেন ১৩টি চার, দু’টি ছক্কা। রোহিতের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ১৬৯ রানের জুটি গড়েন তিনি।

প্রত্যেক ভারতীয় ক্রিকেট ভক্তের মতোই পূজারার প্রার্থনা, ‘‘শেষ দিনে এই পিচ ব্যাটসম্যানদের জন্য সহজ হবে না বলেই আশা করছি। স্পিনারদের জন্য আরও বেশি সাহায্য থাকতে পারে। ইতিমধ্যেই অসমান বাউন্স দেখা গিয়েছে। তাই পেসারদের খেলাও সহজ হবে না। আবার ক্ষতও তৈরি হয়েছে, ফলে স্পিনাররাও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে।’’ পূজারার মনে হচ্ছে, শেষ দিনের পিচে বাঁ হাতি জাডেজাকে খেলা খুবই কঠিন হবে। ‘‘এলগারকে যে বলটায় জাড্ডু আউট করেছে, সেটা দেখেই বোঝা গিয়েছে, অসমান বাউন্স শুরু হয়ে গিয়েছে। আমার মনে হয়, ফাটলে পড়ে বলটা নীচু হয়ে গিয়েছে। পিচে ফাটল দেখা দিয়েছে এবং পেস বোলারদের খেলাও কিন্তু সহজ হবে না,’’ বলছেন তিনি।

Advertisement

অন্য প্রান্ত থেকে রোহিতের ব্যাটিং দেখে তিনি উচ্ছ্বসিত। ‘‘প্রথম ইনিংসেও দারুণ ব্যাট করেছে রোহিত। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে খারাপ হতে থাকা পিচে চ্যালেঞ্জটা অন্য রকম ছিল। তার মধ্যেও দুর্ধর্ষ সব শট খেলে গেল ও। দারুণ উপভোগ্য ব্যাটিং,’’ বলে পূজারা যোগ করছেন, ‘‘সাদা বলে অনায়াসে ছক্কা মেরে দেখিয়েছে রোহিত। লাল বলেও একই কাজ করছে। অনেক কিছুই শেখার আছে ওর থেকে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement