গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
বিরাট কোহালির নেতৃত্বে ভারতীয় দল যতই ভাল খেলুক, ফের ম্যাচ গড়াপেটার ছায়া ভারতের ক্রিকেটে। আইসিসি-র দুর্নীতি দমন শাখার কর্তা আলেক্স মার্শাল ব্রিটেনের ‘দ্য টেলিগ্রাফ’-কে বলেছেন এই মুহূর্তে ভারতে ১২ জন জুয়াড়ি কাজ করে চলেছে। এখন আইসিসি-র কাছে ম্যাচ গড়াপেটার যে ৪২টি ঘটনা রয়েছে, তার মধ্যে অধিকাংশতেই এই ১২ জন জুয়াড়ি জড়িত। জানা গিয়েছে, এখন বিটকয়েনের মতো আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে চলছে ক্রিকেট গড়াপেটা।
মার্শাল জানিয়েছেন, পরিচিত এক জুয়াড়ির জিজ্ঞাসাবাদ চলছে দিল্লিতে। ফলে তিনি এবং আইসিসি-র দুর্নীতি দমন শাখা আশা করছে, খুব শিঘ্রই ম্যাচ গড়াপেটা চক্রের মূল মাথা তাঁদের হাতে চলে আসবে। কীভাবে জুয়াড়িরা কাজ করছে, তার একটা ছবিও তুলে ধরেছেন মার্শাল। ‘ইউভিএ টি২০ লিগ’ নামে একটি প্রতিযোগিতা চলছে পঞ্জাবের মোহালির কাছে একটি গ্রাম স্বরাতে। কিন্তু খাতায়-কলমে দেখানো হচ্ছে এই প্রতিযোগিতা চলছে শ্রীলঙ্কায়। এই প্রতিযোগিতায় গড়াপেটার অভিযোগে পঞ্জাব পুলিশ রবীন্দ্র ডান্ডিওয়াল নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে। এই ব্যক্তি বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় টেনিস ম্যাচেও গড়াপেটা করে থাকে বলে অভিযোগ। মার্শালের বক্তব্য অনুযায়ী অতিমারির সময়ে জুয়াড়িরা বেছে বেছে এমন ক্রিকেটারদের গড়াপেটার প্রস্তাব দিত, যাঁদের আর্থিক সঙ্কট তৈরি হয়েছিল।
ভারত থেকে কাজ চালানো এই জুয়াড়িরা এখন আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে জানিয়ে মার্শাল বলেন, ‘‘এখন টাকা লেনদেনের ক্ষেত্রে জুয়াড়িরা বিটকয়েন এবং অন্য আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নিচ্ছে। শুধু তাই নয়, জুয়াড়িরা এমন অ্যাপ ব্যবহার করছে, যেখানে মেসেজ থাকে না। এই জুয়াড়িরা বার্নার ফোন (প্রিপেড মিনিটযুক্ত চিপ ফোন, যা কিনতে গেলে কোনও নথি-তথ্য লাগে না) ব্যবহার করছে।’’
ক্রিকেট জুয়া রুখতে আইসিসি কিছু ব্যবস্থাও নিয়েছে। ভারতের দুর্নীতি দমন শাখার প্রধান অজিত সিংহ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে বলেছেন, বিভিন্ন রাজ্যে ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক যে ক্রিকেট লিগগুলি হয়, সেগুলোর ওপর কড়া নজর রাখতে। এছাড়াও আইসিসি তাদের ওয়েব সাইটে পরিচিত জুয়াড়িদের নাম, ছবি দিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।