ছবি: সংগৃহীত।
প্রিমিয়ার লিগ কমিটি জানিয়ে দিল, গত সপ্তাহে ক্লাবগুলিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩৬ জন। তার পরেও ইপিএল কিন্তু বন্ধ হয়ে যায়নি। নতুন মরসুম শুরু হওয়ার পর থেকে আক্রান্তের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০৭।
কোভিড পরীক্ষা হয়েছে মোট ২১ রাউন্ড। লিগ বন্ধ না হলেও ইপিএলের পাঁচটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। সব ডিভিশন ধরলে সংখ্যাটা পঞ্চাশ পেরিয়েছে। ইপিএলে শেষ যে ম্যাচটি বাতিল হয়েছে, তা টটেনহ্যাম বনাম অ্যাস্টন ভিলা ম্যাচ। ঘন ঘন খেলা বাতিল হওয়ায় সূচি তৈরি নিয়েও জটিলতার সৃষ্টি হচ্ছে। তবু প্রিমিয়ার লিগ কমিটি জানিয়ে যাচ্ছে, কোভিড বিধি মেনে লিগ শেষ করা যাবে।
নিউক্যাসল ইউনাইটেডের ম্যানেজার স্টিভ ব্রুস জানিয়েছেন, এই অবস্থাতেও খেলা চালিয়ে যাওয়াটা অনৈতিক। তাঁকে সমর্থন করেছেন আর্সেনালের ম্যানেজার মিকেল আর্তেতা। ‘‘গোটা বিশ্বের মতো এ দেশেও সংক্রমণ বাড়ছে। তার পরেও খেলা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত কিছুটা অদ্ভুত মনে হচ্ছে আমার,’’ বলেছেন আর্তেতা। যিনি গত বছর করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। একটি পরিসংখ্যান অনুযায়ী ব্রিটেনে আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ লক্ষ। মৃত্যু হয়েছে ৮১ হাজার মানুষের। সাম্প্রতিক সপ্তাহে সংক্রমণের জন্য সব চেয়ে সমস্যায় পড়েছে নিউক্যাসল, ম্যাঞ্চেস্টার সিটি ও ফুলহ্যাম। এই তিন ক্লাবের বেশ কয়েক জন ফুটবলার হয় আক্রান্ত হয়েছেন অথবা আক্রান্তদের কাছাকাছি যাওয়ার জন্য নিভৃতবাসে থাকতে হয়েছে।
এ দিকে, স্কটল্যান্ডে লিগে নীচের দিকের একটি অংশের খেলা তিন সপ্তাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। ইংল্যান্ডেও নিচু তলার লিগ বন্ধ রাখার দাবি উঠেছে। প্রসঙ্গত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন গত সপ্তাহেই নতুন করে লকডাউন ঘোষণা করেছেন। অদ্ভুত ব্যাপার, তার পরেও প্রিমিয়ার লিগ কিন্তু চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে।