নিজের বাড়িতে বসে রামবাই। গলায় ঝুলছে তিনটি সোনার পদক। ছবি: টুইটার
১০৬ বছর বয়স মহিলার। তাতে কী? দিব্যি দৌড়াচ্ছেন। তাঁর থেকে ২০ বছর ছোটদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছেন। পদকও জিতছেন। বয়সকে বুড়ো আঙুল দেখাচ্ছেন হরিয়ানার রামবাই। দেহরাদূনে একটি দৌড় প্রতিযোগিতায় তিনটি সোনা জিতেছেন তিনি।
৮৫ ঊর্ধ্ব বিভাগে তিনটি আলাদা আলাদা প্রতিযোগিতায় নেমেছিলেন রামবাই। তিনটিতেই বাকিদের হারিয়ে সোনা জিতেছেন তিনি। ১০০ মিটার ও ২০০ মিটার দৌড় এবং শটপাটে সবাইকে টেক্কা দিয়েছেন তিনি। ১০৪ বছর বয়সে রামবাইয়ের মনে হয়েছিল ক্রীড়াবিদ হবেন। যেমন ভাবা তেমন কাজ। পরের বছরই একটি প্রতিযোগিতায় ১০০ মিটার দৌড়ে বিশ্বরেকর্ড করেন তিনি। আর এ বার তিনটি পদক এল তাঁর ঝুলিতে।
হরিয়ানা চরখি দাদরি গ্রামে জন্ম রামবাইয়ের। বিয়ের পর অন্য গৃহবধূদের মতোই জীবন কাটত। বাড়ির কাজের পাশাপাশি জমির কাজেও হাত লাগাতেন রামবাই। অল্প বয়স থেকে এই পরিশ্রমের দাম পেয়েছেন। শরীর সুস্থ থেকেছে। ২০১৬ সালে কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে একটি প্রতিযোগিতায় ১০০ বছর বয়সে সোনা জেতেন পঞ্জাবের মান কৌর। সেই কাহিনি রামবাইকে বলেন তাঁর নাতনি শর্মিলা সাওয়ান। সেই গল্প শুনে রামবাই ঠিক করে নেন তিনিও দৌড়াবেন।
কিছু দিনের অনুশীলনের পরে গত বছর একটি প্রতিযোগিতায় মানের নজির ভেঙে দেন রামবাই। সেই শুরু। তার পর আর থামেননি রামবাই। নিজের সব কাজ নিজেই করেন। কারও সাহায্য নেন না। দেহরাদূনের প্রতিযোগিতায় জেতার পরে তাঁর পা টিপে দিতে এগিয়ে এসেছিলেন নাতনি শর্মিলা। তাঁকে রামবাই বলেন, ‘‘আমি ঠিক আছি। যার দরকার তাকে গিয়ে পা টিপে দাও। আমাকে দিতে হবে না।’’