মেন্সট্রুয়েশনের সময় কম বেশি ব্যথা প্রায় সব মহিলাদেরই হয়। কিন্তু, জানেন কি এই যন্ত্রণার তীব্রতা ঠিক কত খানি হতে পারে? বিজ্ঞানীরা বলছেন, বহু ক্ষেত্রে এই যন্ত্রণা হার্ট অ্যাটাকের মতোই যন্ত্রণাদায়ক।
প্রতি পাঁচ জনের মধ্যে এক জন মহিলা এই সমস্যায় ভোগেন। তাঁদের কাছে মাসের ওই কয়েকটা দিন দুঃস্বপ্নের মতো। কিন্তু হটব্যাগ, প্যারাসিটামল বা অন্য কোনও হাল্কা পেইনকিলারে্ই এই ভীষণ কষ্টদায়ক সমস্যাকে জোর করে চেপে রাখার চেষ্টা চলে। গবেষক অলিভিয়া গোল্ডহিল বলছেন, ‘‘যন্ত্রণাদায়ক পিরিয়ড-এর কারণটাই খুব ভাল করে জানা যায়নি। বলা ভাল, জানার চেষ্টাই করা হয়নি তেমন। এই নিয়ে গবেষণার সংখ্যাও খুবই কম।’’
ডিসমেনোরিয়া বা যন্ত্রণাদায়ক পিরিয়ডস-এর নির্দিষ্ট কোনও চিকিত্সা এখনও পর্যন্ত নেই। এই যন্ত্রণাকে স্বাভাবিক ভেবে বহু দিন অবহেলা করা হয়েছে। মেন্সট্রুয়াল সাইকেলের সময় মাঝেমাঝেই এন্ডোমেট্রিওসিস (যে কোষগুলি সাধারণত জরায়ুর মধ্যে তৈরি হয়, সে গুলি জরায়ুর বাইরে, মূলত পেলভিস অঞ্চলে বাড়তে শুরু করে) হয়। এন্ডোমেট্রিওসিস অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক অবস্থা। চিকিত্সার অভাবে এন্ডোমেট্রিওসিস থেকে বন্ধাত্যও হতে না পারে। তবে, এন্ডোমেট্রিওসিস যন্ত্রণাদায়ক পিরিয়ডস-এর একমাত্র কারণ না বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।
গবেষকরা বর্তমানে কিছুটা হলেও উদ্যোগী হয়েছেন ডিসমেনোরিয়ার কারণ অনুসন্ধান এবং যথাযথ চিকিত্সার উপায় বার করতে। এই সময় পারিপার্শ্বিকের সাহায্যও প্রয়োজনীয়। অসহ্য যন্ত্রণা তার সঙ্গে শরীরে হরমোনের পরিবর্তনের ফলে মেন্সট্রুয়েশনের সময় মহিলাদের মুডে ব্যাপক পরিবর্তন আসে। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন এই সময় মহিলাদের বিশেষ যত্নে রাখাই বাঞ্ছনীয়। যন্ত্রণা খুব বাড়লে ফেলে না রেখে ডাক্তারদের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজনীয়।
আরও পড়ুন- সাবধান হলে ঝুঁকির প্রসবও এখন সহজ