১। ক্লিনজিং- ফেশিয়াল করার আগে ত্বক পরিষ্কার করে নেওয়া সবচেয়ে জরুরি। নিজের ত্বকের ধরন অনুযায়ী ক্লিনজার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন। মেক আপ করা থাকলে অবশ্যই তুলে ফেলুন। তুলোয় কাঁচা দুধ নিয়েও মুখ পরিষ্কার করে নিতে পারেন। ক্লিনজিংয়ের পর জলের ঝাপটা দিয়ে মুখ ভাল করে ধুয়ে নিন অথবা ভেজা তোয়ালে দিয়ে আলতো করে মুছে নিন।
২। এক্সফোলিয়েটিং- ফেশিয়াল করার দ্বিতীয় ধাপ এক্লফোলিয়েটিং। এতে মুখের মড়া, শুষ্ক চামড়া উঠে যাবে। ভেজা মুখে ত্বকের ধরন অনুযায়ী স্ক্রাব লাগান। কপাল, গাল, নাকের ধারে আলতো মাসাজ করে স্ক্রাব করুন। চোখের চারপাশে স্ক্রাব করবেন না। এই অংশের ত্বক খুব নরম ও সংবেদনশীল হয়।
৩। স্টিমিং- ফেশিয়ালের তৃতীয় ধাপ স্টিমিং। এতে ত্বকের রোমকূপ খুলে যায়। বাড়িতে স্টিমার থাকলে খুব ভাল। না থাকলে একটা বড় বাটিতে ধোঁয়া ওঠা গরম জল নিয়ে মুখের সামনে ধরুন। একটা তোয়ালে মাথায় জড়িয়ে নিন। মুখে স্টিম দিন। তবে মুখ ধোঁয়ার কাছে খুব কাছে নিয়ে যাবেন না। এতে ঝলসে যেতা পারে। ভাল ফল পেতে জলের মধ্যে গোলাপের পাঁপড়ি, ল্যাভেন্ডার, থাইম বা রোজমেরি মিশিয়ে নিতে পারেন। ১০ থেকে ১৫ মিনিট স্টিম দিন মুখে। বেশি গরম লাগলে মাঝে মাঝে মুখ সরিয়ে নেবেন।
৪। ফেশিয়াল মাস্ক- স্টিম দেওয়ার পর ফেশিয়াল মাস্ক লাগান। রোমকূপ বড় হয়ে যাওয়ায় মাস্ক ত্বকের ভিতরে ঢুকে পুষ্টি জোগাবে। শুষ্ক ত্বকের জন্য হাইড্রেটিং বা ক্রিমি মাস্ক ব্যবহার করুন। সংবেদনশীল ত্বকের জন্য হালকা জেল মাস্ক। পুরো মুখে সমান ভাবে মাস্ক লাগান। রোজ ওয়াটারে তুলো ভিজিয়ে চোখের উপর রাখুন। দুটো স্লাইস শশা কেটেও চোখের উপর রাখতে পারেন। চোখ বুজে ১৫ মিনিট শুয়ে রিল্যাক্স করুন। ঠান্ডা জলে ভাল করে মুখ ধুয়ে মাস্ক তুলে নিন।
৫। ময়শ্চারাইজিং- ফেশিয়াল করুন মুখ ময়শ্চারাইজ করে। নিজের ত্বকের ধরন অনুযায়ী ময়শ্চারাইজার বেছে নিন। ভাল করে মুখ মাসাজ করে নিন।