Shobdo Jobdo

শব্দের লড়াইয়ে সেরা স্কুল হল লায়ন্স ক্যালকাটা (গ্রেটার) বিদ্যামন্দির

শুরু থেকে খানিক পিছিয়ে থাকলেও শেষ মুহূর্তে বাজার টিপে বাজিমাত করেন বারাসত পেয়ারীচরণ সরকার সরকারি স্কুলের শিক্ষার্থীরা।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২২ ১৭:৩৮
Share:

শব্দ জব্দ ২০২২

অপেক্ষার অবসান। শেষ হল শব্দ জব্দ ২০২২। শব্দের লড়াইয়ে সেরা স্কুল হল লায়ন্স ক্যালকাটা (গ্রেটার) বিদ্যামন্দির। ৪৯০ পয়েন্ট পেয়ে শীর্ষ স্থানে থেকে তারা ছিনিয়ে নিল জয়ের খেতাব। অন্য দিকে শুরু থেকে খানিক পিছিয়ে থাকলেও শেষ রাউন্ডের শেষ প্রশ্নে বাজার টিপে বাজিমাত করে বারাসত পেয়ারীচরণ সরকার স্কুলের শিক্ষার্থীরা। শেষ প্রশ্নে ‘টেক্কা’ দিয়ে ৪৭০ পয়েন্ট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে বারাসত পেয়ারীচরণ সরকার সরকারি বিদ্যালয়। তৃতীয় স্থানে সেন্ট অগাস্টিন ডে স্কুল, ব্যারাকপুর। চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে যুগ্মভাবে রয়েছে দিল্লি পাবলিক স্কুল, হাওড়া, এবং যোধপুর পার্ক বয়েজ। বিজয়ী স্কুলের শিক্ষার্থীদের হাতে শংসাপত্র ও স্মারক তুলে দেন সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়।

Advertisement

শব্দ জব্দ ২০২২

এ ছাড়াও এ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইআইআইএলএম-এর চেয়ারম্যান ও ডিরেক্টর আর.পি. বন্দ্যোপাধ্যায়, সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তথা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ধ্রুবজ্যোতি চট্টোপাধ্যায়, সুভাষ বোস ইনস্টিটিউট অব হোটেল ম্যানেজমেন্টের ভাইস প্রিন্সিপাল সুমিত মণ্ডল এবং টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের কো-চেয়ারপার্সন প্রফেসর মানসী রায়চৌধুরী।

সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় এই অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে জানান, “বাংলা শব্দ নিয়ে এমন অনুষ্ঠান আমি সত্যিই আগে কখনও দেখিনি। এই অনুষ্ঠান আগামী প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের বাংলা ভাষার প্রতি আগ্রহ বাড়িয়ে তুলবে। সর্বোপরি আমাদের মাতৃভাষা - বাংলা ভাষা সমৃদ্ধ হবে।”

Advertisement

অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ধ্রুবজ্যোতি চট্টোপাধ্যায় জানান, “আমাদের প্রতিদিনের জীবনে যখন কথা বলি, তখন প্রতিটি বাক্যে কোনও না কোনও ইংরেজি শব্দ প্রবেশ করে। অথচ বাংলা ভাষা দিয়ে কী সুন্দর ভাবে সব কিছু বুঝিয়ে দেওয়া যায়। বাংলা ভাষাকে আরও আগে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লড়াইয়ে আনন্দবাজার অনলাইন-এর এই উদ্যোগে সত্যিই অনস্বীকার্য।”

বাংলা শব্দের এই লড়াইয়ের চূড়ান্ত পর্বে একই সুর শোনা গেল প্রফেসর মানসী রায়চৌধুরীর মুখেও। তাঁর মতে, ‘পশ্চিমবঙ্গে বাংলা শব্দ নিয়ে এমন অনুষ্ঠান সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। এই উদ্যোগ আগামী দিনে শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং অভিভাবক সকলকে সমৃদ্ধ করবে।’

অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত প্রত্যেক শিক্ষার্থীর হাতে শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানের পর্বে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা যে উচ্ছ্বাস উত্তম মঞ্চে দেখা গিয়েছিল তা এক কথায় নজিরবিহীন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement