genetic changes

রূপ বদলিয়ে ঘরশত্রু বিভীষণ কিছু জিন, ভয়াবহ হচ্ছে কোভিড, জানাল নেচার-এর গবেষণা

আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা ‘নেচার’-এ প্রকাশিত একটি নজরকাড়া গবেষণা এই খবর দিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০২১ ১৬:০৯
Share:

-ফাইল ছবি।

‘ঘরশত্রু বিভীষণ’-এর হদিশ পেলেন বিজ্ঞানীরা! জানা গেল, কোভিডের ক্ষেত্রে মানুষকে সত্যি সত্যিই ‘জিন'-এ ধরেছে!

Advertisement

কোভিডের ক্ষেত্রে ঘরশত্রু বিভীষণ হয়ে গিয়েছে মানবদেহেরই কয়েকটি জিন। নিজেদের রূপ বদলিয়ে। নানা ধরনের মিউটেশনের ফলে সেই রূপ বদলানোর সঙ্গে সঙ্গে তাদের কাজের ধরনধারণও বদলেছে। সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের মতোই মানব-জিনেরও বিভিন্ন রূপের (ভেরিয়্যান্ট) হদিশ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। কয়েকটি জিনের ভিন্ন ভিন্ন রুপই মানবদেহে ঢোকার কাজটা সহজ করে দিচ্ছে সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের। মানুষের প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে দুর্বল করে দিয়ে। তাতে কোষে ঢুকে পড়া আর কোষের ভিতর সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের দ্রুত বংশবৃদ্ধি করতেও বেশি সুবিধা হচ্ছে। ওই জিনগুলির রূপবদলের ফলেই মৃদু ও মাঝারি ভাবে আক্রান্তদের ক্ষেত্রে কোভিড পরে আরও ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারছে। রোগীদের মৃত্যু হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা ‘নেচার’-এ প্রকাশিত একটি নজরকাড়া গবেষণা এই খবর দিয়েছে। ভয়াবহ পর্যায়ে চলে যাওয়া ১ লক্ষেরও বেশি কোভিড রোগীর জিনোম বিশ্লেষণ করে এই তথ্যগুলি পেয়েছেন গবেষকরা।

Advertisement

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই গবেষণার ফলাফল আগামী দিনে ওই সব জিনের রূপগুলিকে নিষ্ক্রিয় করতে নতুন ওষুধ আবিষ্কারের পথ খুলে দিতে পারে।

আরও পড়ুন

রাজ্যে নতুন আক্রান্ত এক ধাক্কায় ন’শোর নীচে, মৃত্যু ১৮, সক্রিয় রোগী ১৮ হাজারের কম

আরও পড়ুন

মহারাষ্ট্রে মহারাজনীতি, শিবসেনার চালে কি আপাতত ‘নিরাপদ’ উদ্ধব সরকার

কানাডার মন্ট্রিলে ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক এপিডেমিয়োলজিস্ট গিয়োম বাটলার-লাপোর্তে বলেছেন, “খুব অল্প কয়েকটি জিনের রূপের হদিশ মিলেছে যেগুলিকে কোভিডের ক্ষেত্রে ভয়াবহ হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে দেখা গিয়েছে। ডায়াবিটিস, অস্বাভাবিক স্থূলত্বের জন্য এই সব জিনের রূপগুলি যতটা দায়ী, কোভিডের ভয়াবহ হয়ে ওঠার ক্ষেত্রেও তাদের ভূমিকা ততটাই।”

জিনগুলির অন্যতম ‘ওএএস’। এই জিন এক ধরনের উৎসেচককে সক্রিয় করে তোলে। সেই উৎসেচক ভাইরাসের আরএনএ-কে ‘চিবিয়ে খেয়ে নিতে’ পারে। কিন্তু সেই জিনই যখন রূপ বদলায়, তখন ফুসফুসের কোষে ওই উৎসেচক তৈরিতে বাধা দেয়। ফলে ফুসফুসে আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে ভাইরাসের হানাদারি। তেমনই রূপ বদলানো আর একটি জিন ‘টিওয়াইকে-২’। এই জিনের বদলানো রূপ এমন একটি প্রোটিন তৈরির জোরালো বার্তা পাঠায়, যে প্রোটিন মানবদেহে কোভিডকে ভয়াবহ করে তোলে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement