Science News

বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেললেন ইসরো-র চেয়ারম্যান

ইসরো থেকেই শনিবার সকালে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। ইসরোকে গোটা কর্মকাণ্ডের জন্যে কুর্নিশ জানান তিনি। বিজ্ঞানীদের উজ্জীবিত করতে তিনি বলেন, ‘‘লক্ষ্যে না পৌঁছনো পর্যন্ত আমরা দাঁড়াব না। ’’

Advertisement

সংবাদসংস্থা

বেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৯:৪৬
Share:

চোখে জল ইসরো-র চেয়ারম্যান কে শিবনের।

রাত থেকে খবর নেই বিক্রমের। ল্যান্ডারের সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে অবতরণের মাত্র কয়েক মিনিট আগে। উদ্বিগ্ন ১৩৩ কোটি ভারতবাসী এই খবর জেনেছিল শুক্রবার শেষ রাতেই। ইসরোর বিজ্ঞানীদের সঙ্গে প্রায় সারা রাত জেগে গোটা ঘটনা দেখার পরে, শনিবার সকালে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে গলা ধরে এল প্রধানমন্ত্রীর। ইসরোর চেয়ারম্যান কে শিবনও শেষমেশ নিজেকে ধরে রাখতে পারলেন না। প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেললেন তিনি।

Advertisement

ইসরো থেকেই শনিবার সকালে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। ইসরোকে গোটা কর্মকাণ্ডের জন্যে কুর্নিশ জানান তিনি। বিজ্ঞানীদের উজ্জীবিত করতে তিনি বলেন, ‘‘লক্ষ্যে না পৌঁছনো পর্যন্ত আমরা দাঁড়াব না। আমরা আত্মবিশ্বাসী, সফল আমরা হবই। আমাদের কেউ রুখতে পারবেন না।’’

শুক্রবার মধ্যরাত ছিল ইসরোর জন্যে অগ্নিপরীক্ষা। সব ঠিক থাকলে রাত ১টা ৫১ মিনিটে চাঁদের মাটিতে পা রেখে ইতিহাস গড়তে পারত ভারত। কিন্তু বিজ্ঞানীদের চূড়ান্ত উৎকণ্ঠার মধ্যে ফেলে চাঁদের মাটি থেকে মাত্র ২.১ কিলোমিটার দূরে অরবিটারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয় বিক্রমের। ফলে গ্রাউন্ড স্টেশনও আর কোনও সঙ্কেত পায়নি। এই গোটা ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

Advertisement

আরও পড়ুন:বিক্রম ল্যান্ডারের সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, জানালেন ইসরোর চেয়ারম্যান
আরও পড়ুন:‘এই ব্যর্থতায় আমরা পিছিয়ে পড়িনি, চাঁদকে ছোঁয়ার ইচ্ছা আরও প্রবল হল’

বিজ্ঞানীদের মুখে বিষণ্ণতা ছায়া ফেললেও, একবারের জন্যেও তাঁকে বিমর্ষ হতে দেখা যায়নি। বরং দেখা যায় তিনি বিজ্ঞানীদের সঙ্গে ব্যক্তিগত ভাবে কথা বলছেন। উৎসাহ দিচ্ছেন তাঁদের।

দেখুন সেই আবেগঘন মুহূর্তের ভিডিয়ো

প্রধানমন্ত্রী মনোভাবে স্পষ্ট, বিক্রমের নিখোঁজ হয়ে যাওয়াটাকে ব্যর্থ মনে করছেন না তিনি। ইসরোর কর্মতৎপরতার তারিফ করে তিনি বরং স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন, অরবিটার এখনও তথ্য দিচ্ছেন। বক্তৃতা শেষ করার সময়ে, চেনা আত্মবিশ্বাসের সুর শোনা গেল তাঁর গলায়, ‘‘চাঁদের পৌঁছনোর জন্য আমাদের ইচ্ছাশক্তি আরও প্রবল হয়েছে। সংকল্প আরও দৃঢ় হয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement