লাল গ্রহের মাটিতে হতে পারে আলুর চাষ। মঙ্গলের মাটিতে এমনই করে দেখিয়েছিলেন বটে ‘দ্য মার্শিয়ান’ ছবির মুখ্য চরিত্র মহাকাশচারী মার্ক ওয়াটনি। তিনি সেই মাটিতে আলু ফলিয়েও ছিলেন। এটা নেহাত কল্পবিজ্ঞান নয়, বাস্তবেও সম্ভব, এ বার তা সত্যি হতে চলেছে বলে মনে করছেন গবেষকদের একাংশ।
লিমার আন্তর্জাতিক আলু গবেষণা কেন্দ্র (সিআইপি)-তে বেশ কয়েক দফার পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর পরে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন গবেষকরা। গত ফেব্রুয়ারি মাসেই এই সংক্রান্ত গবেষণা শুরু হয়েছিল। এ বার সেই পরীক্ষার দ্বিতীয় ধাপ। পেরুর ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ‘কিউবস্যাট’ নামে একটি কৃত্রিম ‘মডিউলার’ উপগ্রহ তৈরি করেন। যার মধ্যে মঙ্গলের মতোই একটি প্রকৃতি তৈরি করা হয়। অর্থাৎ তাপমাত্রা, বায়ুর চাপ, বিভিন্ন গ্যাসের মাত্রা ঠিক মঙ্গলের মতোই। কিউবস্যাটের মধ্যে সেই পরিবেশে একটি মুখ-বন্ধ পাত্রে আলুর বীজ রাখা হয়। যন্ত্রের মধ্যে রাখা ক্যামেরায় ধরা পড়েছে, ওই বীজ থেকে অঙ্কুরোদ্গম হয়েছে।
গবেষক জুলিও ভালডিভিয়া বলছেন, ‘‘মঙ্গলের মতো পরিবেশে শস্য ফলানো একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। কারণ ‘কিউবস্যাট’-এর ভিতরের চরম আবহাওয়া যদি এই আলু সহ্য করতে পারে, তবে মঙ্গলের মাটিতে আলু চাষের ভাল সম্ভাবনা রয়েছে। এর পরে আরও কয়েক দফার পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখা হবে যে কোন প্রজাতির আলুর ফলন সব চেয়ে ভাল হয়।’’ এর আগের পর্যায়ের পরীক্ষায় দক্ষিণ পেরুর মরুভূমির মাটি ব্যবহার করা হয়েছিল। চরম পরিস্থিতিতে আলুর অভিযোজন করার ক্ষমতা এমনিতেই বেশি। আলু চাষের গুরুত্ব আরও একটি কারণে। আলুর ক্যালোরি অনেক বেশি হওয়ার ফলে আলু চাষে অল্প জমিতে বেশি ক্যালোরির খাবার পাওয়া যায়।