নাসার মহাকাশযানের পাঠানো সুপারনোভার ছবি। সৌজন্যে: নাসা। সৌজন্যে: নাসা।
নক্ষত্রের মৃত্যুদশায় ঠিক কী কী ঘটে, তার ছবি তুলে পাঠাল মহাকাশে থাকা নাসার চন্দ্র এক্স-রে অবজারভেটরির টেলিস্কোপ। নক্ষত্রের মৃত্যুদশায় যে নিউট্রন নক্ষত্রের জন্ম হয়েছে, তারও ছবি তুলতে পেরেছে নাসার মহাকাশযান।
কোনও নক্ষত্র তার মৃত্যুদশায় পৌঁছলে ঘটে প্রচণ্ড বিস্ফোরণ। এই বিস্ফোরণেরই নাম ‘সুপারনোভা’। সেই বিস্ফোরণের পর তারার দেহাবশেষ থেকে জোরালো অভিকর্ষ বলের টানে দু’ধরনের মহাজাগতিক বস্তুর জন্ম হতে পারে। একটি ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণগহ্বর। অন্যটি নিউট্রন নক্ষত্র।
ব্ল্যাক হোলের অভিকর্ষ বল এতটাই জোরালো যে, আলোও তার নাগপাশ কাটিয়ে বেরিয়ে আসতে পারে না। সব কিছুকেই গিলে খায় ব্ল্যাক হোল।
আর নিউট্রন নক্ষত্রের ঘনত্ব হয় অপরিসীম। ওই নক্ষত্রে নিউট্রন কণাগুলি এতটাই শক্তপোক্ত ভাবে বাঁধা পড়ে থাকে যে, একটি সুগার কিউবের আকারের নিউট্রন নক্ষত্রের ওজন হয় ১০০ কোটি টনেরও বেশি। মানে, প্রায় একটা মাউন্ট এভারেস্টের সমান!
নাসা জানিয়েছে, যে সুপারনোভার ছবি তুলেছে চন্দ্র এক্স-রে অবজারভেটরি, তার নাম ‘আরসিডব্লিউ-১০৩’। নিউট্রন নক্ষত্রটিকে সেই তারার দেহাবশেষের একেবারে কেন্দ্রে দেখা গিয়েছে।