হাব্‌লের চেয়ে ১০০ গুণ বড় টেলিস্কোপ মহাকাশে পাঠাচ্ছে নাসা

এ বার মহাকাশের আরও দূরে, আরও গভীরে পৌঁছে যেতে পারব আমরা। ‘হাব্‌ল স্পেস টেলিস্কোপ’ (এইচএসটি)-এর চেয়ে একশো গুণেরও বেশি বড় আকারের টেলিস্কোপ এ বার মহাকাশে পাঠাচ্ছে নাসা। যার নাম- ‘ওয়াইড ফিল্ড ইনফ্রারেড সার্ভে টেলিস্কোপ’ (ডব্লিউএফআইআরএসটি)।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১১:০০
Share:

এ বার মহাকাশের আরও দূরে, আরও গভীরে পৌঁছে যেতে পারব আমরা।

Advertisement

দেখতে পারব অনেক অনেক দূর পর্যন্ত।

যতটা দূর পর্যন্ত আমরা এখনও দেখতে পাইনি। মহাকাশের যতটা গভীরে আমরা যেতে পারিনি এখনও।

Advertisement

যার জন্য এই ব্রহ্মাণ্ডের অনেক কিছুই, এই একুশ শতকেও, আমাদের ধরা-ছোঁওয়া, জানা-বোঝার বাইরেই থেকে গিয়েছে।

সেই অজানাকে জানা আর অচেনাকে চেনার জন্যই ‘হাব্‌ল স্পেস টেলিস্কোপ’ (এইচএসটি)-এর চেয়ে একশো গুণেরও বেশি বড় আকারের টেলিস্কোপ এ বার মহাকাশে পাঠাচ্ছে নাসা। যার নাম- ‘ওয়াইড ফিল্ড ইনফ্রারেড সার্ভে টেলিস্কোপ’ (ডব্লিউএফআইআরএসটি)।

আরও পড়ুন- ব্রহ্মাণ্ডের অন্য প্রান্তের বার্তাও এনে দেবে মহাকর্ষীয় তরঙ্গ!

মহাকাশে মিলল চিনি, প্রাণের স্পষ্ট ইঙ্গিত, বলছেন বিজ্ঞানীরা

কাজ কী হবে এই অত্যন্ত শক্তিশালী টেলিস্কোপের?

একটা-দু’টো নয়। তার অনেক কাজ রয়েছে। ওই ‘মাল্টি-ফাংশনাল’ টেলিস্কোপ যে শুধুই এই সৌরমণ্ডলের বাইরে ব্রহ্মাণ্ডের লুকোনো জগৎ খুঁজবে তা-ই নয়, সন্ধান করবে ভিন গ্রহে প্রাণেরও। তারই সঙ্গে কৃষ্ণ গহ্বর, নিউট্রন নক্ষত্রের মতো অজানা মহাজাগতিক বস্তুও খুঁজবে ওই নতুন শক্তিশালী টেলিস্কোপ। সন্ধান করবে এতাবৎ হদিশ না মেলা ‘ডার্ক ম্যাটার’ ও ‘ডার্ক এনার্জি’-রও।

ওই টেলিস্কোপে প্রায় আড়াই মিটার লম্বা ‘করোনাগ্রাফ’ যন্ত্রটি এই সৌরমণ্ডলের বাইরে অন্য অন্য নক্ষত্রমণ্ডলেও পৃথিবীর মতো কোনও বাসযোগ্য গ্রহ রয়েছে কি না, তারও সন্ধান করবে।

২০১৮ সালে ‘জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ’ (জেডব্লিউএসটি) পাঠানোর পরেই এই শক্তিশালী টেলিস্কোপ ‘ডব্লিউএফআইআরএসটি’ মহাকাশে পাঠানো হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement