নাসা প্রকাশিত সেই ছবি।
হঠাৎ দেখলে চোখ ধাঁধিয়ে যেতে পারে। তবে একটু ধাতস্থ হলেই একে একে দেখা যাবে গোল, চ্যাপ্টা, লম্বাটে নক্ষত্রপুঞ্জ। তার প্রতিটা বিন্দু স্পষ্ট ধরা পড়েছে ছবিতে। আবার এর পাশেই রয়েছে ঝকঝকে তারার আলো। ঠিকরে বেরোচ্ছে উৎসস্থল থেকে। খালি চোখেও বোধ হয় এত নিখুঁত ছবি দেখা সম্ভব হত না। কিন্তু নাসা বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী এবং বৃহত্তম দূরবীক্ষণ যন্ত্র ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের সাহায্যে সেই ছবি তুলতে পেরেছে। ছবিটি প্রকাশ করে নাসা জানিয়েছে, বহির্বিশ্বের অদ্যাবধি যত ছবি তোলা হয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে ধারালো এবং গভীরতম ইনফ্রারেড ছবি এটি। মহাকাশের নিখুঁত বিশদের শেষ কথা বলে এই ছবি।
ওয়েব টেলিস্কোপের এই ছবি ১১ জুলাই অর্থাৎ সোমবার হোয়াইট হাউসে প্রকাশ করেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। নাসা জানিয়েছে, ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের তোলা প্রথম ছবি এটি। তবে আরও আছে। মঙ্গলবারই সেই ছবির একটি সংগ্রহ প্রকাশ করার কথা নাসার। নাসা ইউরোপীয়ান স্পেস এজেন্সি (ইসা) এবং কানাডিয়ান স্পেস এজেন্সি (সিএসএ)-র সঙ্গে যৌথ ভাবে ওই ছবিগুলি প্রকাশ করবে নাসা। তবে তার আগে প্রথম ছবিটি প্রকাশ করে নাসা জানিয়েছে, এই ছবি নাসার জেমস ওয়েব টেলিস্কোপে তোলা মহাকাশের ‘গ্যালাক্সি ক্লাস্টার ০৭২৩’-র ছবি।
তবে নাসা জানিয়েছে ওয়েব টেলিস্কোপ মহাকাশের যে অংশটির ছবি তুলেছে সেটি মহাকাশের ক্ষুদ্রতম একটি অংশ মাত্র। কতটা ছোট, তা বোঝাতে নাসা বলেছে হাতের তালুতে ধরা একটা ছোট্ট বালির দানা বলা যেতে পারে ওই ছবিকে। তবে ওয়েবের সাহায্যে আগামী দিনে বহির্বিশ্বের আরও রহস্যভেদ করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন নাসার বিজ্ঞানীরা।
ওয়েব টেলিস্কোপের তোলা সেই ছবি। সৌজন্য— নাসা