mars

লালগ্রহে পা ছোঁয়ানোর সময়ে ‘সাত মিনিটের আতঙ্ক’র ভিডিয়ো প্রকাশ নাসার

ভিডিয়োর শুরুতেই দেখা যাচ্ছে একটি চমকে দেওয়ার মতো ঘটনা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০২:২৪
Share:

মঙ্গলের মাটিতে অবতরণের ঠিক আগের মুহূর্তে প্যারাস্যুট খুলছে নাসার রোভার ‘পার্সিভারেন্স’। ছবি সৌজন্যে: নাসা।

লালগ্রহ মঙ্গলে পা ছোঁয়ানোর আগে সেই সাত মিনিটের আতঙ্কের সময়ের ভিডিয়ো তুলে পাঠাল নাসার রোভার ‘পার্সিভারেন্স’। এই প্রথম অন্য কোনও গ্রহে অবতরণের সময়ের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর পর্বের ভিডিয়ো তুলে পাঠাল কোনও মহাকাশযান। সোমবার গভীর রাতে পাসাডেনায় নাসার তরফে সেই ভিডিয়ো প্রকাশ করা হয়েছে এক সাংবাদিক সম্মেলনে। যা শুরু হয় রাত সাড়ে ১২টায়, চলে রাত দুটো পর্যন্ত।

Advertisement

মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলে একেবারে উপরের স্তরে ঢুকে পড়ার ২৩০ সেকেন্ড পর থেকেই শুরু হয় সেই ভিডিয়ো, তখন মহাকাশযানের গতি ছিল ঘণ্টায় সাড়ে ১২ হাজার মাইল অর্থাৎ ঘণ্টা প্রতি ২০ হাজার ১০০ কিলোমিটার।

ভিডিয়োর শুরুতেই দেখা যাচ্ছে একটি চমকে দেওয়ার মতো ঘটনা। ১৮ ইঞ্চি লম্বা ও ২৬ ইঞ্চি চওড়া নাইলনের একটি সিলিন্ডার হঠাৎ করে ফুলেফেঁপে উঠতে শুরু করল। তার পর মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলে সেই ছোট্ট সিলিন্ডারটাই ফুলেফেঁপে হয়ে উঠল সাড়ে ৭০ ফুট চওড়া একটা দানবাকৃতি প্যারাসুট। এত বড় প্যারাসুট সভ্যতা এর আগে আর পাঠায়নি লাল গ্রহে। তার পর শুরু হল গায়ে কাঁটা দেওয়ার সেই মুহূর্ত। এই প্যারাসুটে গা ভাসিয়ে নামতে শুরু করল নাসার ল্যান্ডার আর তার পেটের ভিতরে থাকা রোভার ‘পার্সিভারেন্স’। মঙ্গলের মাটি থেকে তার উচ্চতা মাত্র সাত মাইল অর্থাৎ ১১ কিলোমিটার। তার পর তা ধীরে ধীরে নামতে থাকল।

Advertisement

ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, নামার সময় যখন নাসার ল্যান্ডারের গতি ছিল সেকেন্ডে ৩ মিটার, তখন মঙ্গলের বুক থেকে ধুলো উঠতে দেখা গেল, তার শব্দও রেকর্ড করে পাঠিয়েছে রোভারের সঙ্গে থাকা মাইক্রোফোন। এর আগে আর কোনও মহাকাশযানের পক্ষে এই ধুলো ওড়ার ছবি ও তার শব্দ পাঠানো সম্ভব হয়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement