Science News

সূর্য গবেষণায় নয়া দিগন্ত, প্রথম সৌর অরবিটর পাঠাল নাসা

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, সোলার অরবিটারের সৌর প্যানেলগুলি সফল ভাবে প্রতিস্থাপিত হয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ২০:১৯
Share:

সূর্য গবেষণায় মহাকাশযান পাঠাল নাসা ও ইএসএ। ছবি: টুইটার থেকে

সূর্য তথা মহাকাশ গবেষণায় খুলে গেল নয়া দিগন্ত। নাসা এবং ইএসএ (ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি)-র যৌথ উদ্যোগে উৎক্ষেপণ হল প্রথম সৌর অরবিটার। ইউরোপীয় সময় রাত ১১টা ৩ মিনিটে ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল এয়ার ফোর্স স্টেশন থেকে লঞ্চ কমপ্লেক্স ৪১ থেকে ইউনাইটেড লঞ্চ অ্যালায়েন্স অ্যাটলাস ভি রকেটটি উৎক্ষেপণ করা হয়। এই প্রথম মহাকাশ থেকে সূর্যের মেরুগুলির ছবি তুলে পৃথিবীতে পাঠাতে পারবে এই মহাকাশযান।

Advertisement

উৎক্ষেপণের পরের দিন সোমবার সকাল ১২টা ১২ মিনিটে জার্মানির ডারমস্টাডেটের ইউরোপীয় স্পেস অপারেশনস সেন্টারের মহাকাশ বিজ্ঞানীরা মহাকাশযান থেকে একটি সঙ্কেত পেয়েছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, সোলার অরবিটারের সৌর প্যানেলগুলি সফল ভাবে প্রতিস্থাপিত হয়েছে।

নাসা জানিয়েছে, উৎক্ষেপণের পরে প্রথম দু’দিন সৌর অরবিটার কয়েকটি অ্যান্টেনা স্থাপন করবে যা পৃথিবীর সঙ্গে যোগাযোগ করবে। তার পর শুরু হবে তথ্য সংগ্রহ এবং পৃথিবীতে পাঠানোর কাজ। সোলার অরবিটার একটি অনন্য কক্ষপথে রয়েছে, যেখান থেকে সূর্যের মেরুগুলির ছবি তুলে পাঠাতে পারবে। এই কক্ষপথে সূর্যের কাছাকাছি মোট ২২টি অবস্থান পড়বে। বুধের কক্ষপথের মধ্যে থেকে সূর্য এবং পৃথিবীতে তার প্রভাব সম্পর্কে পর্যবেক্ষণ করবে এই মহাকাশযান।

Advertisement

আরও পড়ুন: রেকর্ড ভেঙে ১১ মাস পৃথিবীর বাইরে কাটিয়ে ঘরে ফিরলেন মহিলা মহাকাশচারী

ইএসএ-র ডিরেক্টর মহাকাশবিজ্ঞানী গুন্থার হেসিঙ্গার বলেছেন, ‘‘পৃথিবীতে প্রাণের জন্য সূর্যের গুরুত্ব কতটা, মানুষ হিসেবে তা আমরা জানি, এটাকে পর্যবেক্ষণ করি এবং কী ভাবে কাজ করে চলেছে, তা নিয়ে নিরন্তর পরীক্ষানিরীক্ষা করে চলেছি। আবার আমরা এটাও জানি যে, একটা সৌরঝড় আমাদের দৈনন্দিন জীবনের কাজকর্ম ব্যাহত করতে পারে।’’ আর নতুন এই অভিযান সম্পর্কে তাঁর মত, এই সোলার অরবিটার মিশনের শেষে আমরা সূর্যের আচরণের পরিবর্তনের জন্য দায়ী কী এবং আমাদের গ্রহের উপর তার প্রভাবই বা কতটা, সে সম্পর্কে আরও বেশি কিছু এবং আরও বিস্তারিত জানতে পারব।’’

এই সোলার অরবিটার সূচনা পর্বে প্রায় তিন মাস সময় কাটাবে। এই সময়ে বিজ্ঞানীরা অরবিটারে থাকা ১০টি যন্ত্রপাতি খুঁটিয়ে পরীক্ষা করবেন যে, সেগুলি ঠিকঠাক কাজ করছে কি না। তার পর সূর্যের প্রাথমিক কক্ষপথে পৌঁছতে সময় লাগবে প্রায় দু’বছর।

আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস: ‘আমাদের বাঁচান’, হাত জড়ো করে মোদীর কাছে আর্তি বাঙালির

অরবিটারটি এবং তার যন্ত্রাংশকে মূলত দু’টি ভাগে ভাগ করেছেন বিজ্ঞানীরা। তার একটি অংশ মহাকাশযানের চার পাশের পরিবেশকে গবেষণা করে দেখবে। বৈদ্যুতিক ও চুম্বকীয় ক্ষেত্র, ভেসে বেড়ানো কণা এবং তরঙ্গগুলি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করবে। দ্বিতীয় অংশের কাজ মূলত দূর থেকে সূর্যের ছবি তোলা। সূর্যের বায়ুমণ্ডল এবং উপাদানগুলিরও তথ্য সংগ্রহ করবে, যা বিজ্ঞানীদের সূর্যের অভ্যন্তরীণ ক্রিয়া-বিক্রিয়া বুঝতে সাহায্য করবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement