-ফাইল ছবি।
যে দেশে আকাশের মুখ ভার থাকে প্রায় সব সময়েই, তেমন উজ্জ্বল রোদ ওঠে না, চাষের উর্বর জমিও নেই বললেই চলে, সেই মুলুকে পুষ্টিগুণে অনেক বেশি সমৃদ্ধ ফসল অনেক বেশি পরিমাণে ফলানোর পথ দেখালেন বিজ্ঞানীরা। অণুজীবদের দিয়ে।
যেখানে চাষবাসের জন্য লাগবে না গবাদি পশু। চাষবাসের জন্য করতে হবে না গবাদি পশুর চাষও (লাইভস্টক ফার্মিং)। তার ফলে, দূষণের হাত থেকে বাঁচবে জল ও পরিবেশ। কারণ, এই অভিনব পদ্ধতিতে উষ্ণায়নের জন্য দায়ী গ্যাসগুলির নির্গমন হবে না একেবারেই।
বিজ্ঞানীরা দেখিয়েছেন অণুজীব দিয়েই পুষ্টিগুণে অনেক বেশি সমৃদ্ধ ফসল ফলানো যায়। তার পরিমাণও অনেক বেশি হয়। এক হেক্টর জমিতে ফলানো সয়াবিন খেতে পারেন বড় জোর ৪০ জন মানুষ। আর একই পরিমাণ জমিতে অণুজীবদের দিয়ে ফলানো ফসলে খিদে মেটানো যায় কম করে ৫২০ জনের! শুধু তাই নয়, সয়াবিনে যতটা প্রোটিন থাকে, তার ১০ গুণ থাকে অণুজীবদের দিয়ে ফলানো ফসলে।
সাম্প্রতিক একটি গবেষণা এই খবর দিয়েছে। গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা ‘প্রসিডিংস অব ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস’-এ।
গবেষকরা জানিয়েছেন, সেই ফসল ফলাতে লাগবে অণুজীব আর সৌরশক্তি সঞ্চয় করে রাখা সোলার প্যানেল। অণুজীবগুলির জ্বালানির চাহিদা মেটাতে সোলার প্যানেল থেকে তৈরি করা হবে সৌরবিদ্যুৎ। আর বাতাস থেকে নেওয়া হবে কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস। বায়োরিঅ্যাক্টর ভ্যাটের মধ্যে কৃত্রিম ভাবে তৈরি করা অণুজীবগুলিকে শুকনো প্রোটিন পাউডারে প্রসেস করে নেওয়া হবে।
জার্মানির পোস্টড্যামে ‘ম্যাক্স প্লাঙ্ক ইনস্টিটিউট অব মলিকিউলার প্ল্যান্ট ফিজিওলজি’-র অধ্যাপক ডোরিয়ান লেগার বলেছেন, “আগামী দিনে খাদ্যসঙ্কটের মোকাবিলায় এই পদ্ধতি পথ দেখাতে পারে। এটি একটি উল্লেখযোগ্য গবেষণা।”