প্রতীকী ছবি
পৃথিবীর খুব কাছে আসতে চলেছে বিশাল আরও এক গ্রহাণু (‘অ্যাস্টারয়েড’)। যেটির ব্যাস প্রায় ৩ হাজার মিটার। গতি প্রতি ঘণ্টায় ৭৭ হাজার কিলোমিটার। ২১ মার্চ সেই গ্রহাণুটিই পৃথিবীর ২০ লক্ষ কিলোমিটারের মধ্যে চলে আসবে। ফলে মহাকাশ গবেষণার অনেক অজানা তথ্য সামনে আসতে পারে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
সম্প্রতি আইফেল টাওয়ারের মতো উঁচু সুবিশাল একটি গ্রহাণু পৃথিবীর কাছে চলে আসার খবর মিলেছিল। যা ফের পৃথিবীর কাছে আসবে ৮ বছর পর। ২০২৯-এ। এই গ্রহাণুটিকে নিয়ে উদ্বেগে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। কারণ ৮ বছর পর এটি এতটাই কাছে চলে আসবে পৃথিবীর যে, তা সভ্যতার পক্ষে হয়ে উঠতে পারে অত্যন্ত বিপজ্জনক। সেই গ্রহাণুটির নাম ‘অ্যাপোফিস’।
তবে ‘অ্যাপোফিস’ নিয়ে উদ্বিগ্ন হলেও নাসা জানিয়েছে, নয়া গ্রহাণুর যাত্রাপথ নিয়ে চিন্তার কোনও কারণ নেই। পৃথিবীর উপর সরাসরি এর কোনও প্রভাব পড়বে না।
২০০১ সালে আগে আবিষ্কৃত এই গ্রহাণুর নাম ‘এফও৩২’। বিজ্ঞানীরা আগেই এই গ্রহাণুর গতিপথ স্পষ্ট করে চিহ্নিত করতে পেরেছিলেন। তাঁরাই জানাচ্ছেন, এর দূরত্ব পৃথিবী থেকে ২০ লক্ষ কিলোমিটারের মতো হবে। পৃথিবী থেকে চাঁদের যা দূরত্ব, তার চেয়ে ৫ গুণ বেশি দূর দিয়ে এই গ্রহাণুটি যাওয়ার কথা। তাই চিন্তার কিছু নেই। তবে এই নিয়ে আগ্রহ তৈরি হয়েছে মহাকাশ গবেষকদের মধ্যে।
নাসার বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, গ্রহাণু পৃষ্ঠে সূর্যের আলো পড়ে তা প্রতিফলিত হলে তা নজরে পড়বে গবেষকদের। দূরত্ব কমে আসায় সেই প্রতিফলন পাঠ করে এই গ্রহাণু নিয়ে অনেক নতুন তথ্য গবেষকদের নজরে আসতে পারে বলে মত নাসার। তাই এই যাত্রা তাঁদের কাছে আগ্রহের।