-ফাইল ছবি।
উত্তর আমেরিকার ইতিহাসে এ বছরের মতো আর কোনও জুন মাসই এতটা উষ্ণ হয়ে উঠতে দেখা যায়নি। সর্বকালীন রেকর্ড। গোটা ইউরোপ মহাদেশেও এ বারের জুন দ্বিতীয় উষ্ণতম। জুনের তাপমাত্রার নিরিখে বিশ্বে উষ্ণতার দিক দিয়ে চতুর্থ। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পাঠানো ‘কোপারনিকাস’ উপগ্রহের ‘জুন, ২০২১ রিপোর্ট’ এই তথ্য দিয়েছে।
এ বছরের জুনেই প্রশান্ত মহাসাগরের উত্তর-পশ্চিমে এবং কানাডার পশ্চিমে এক সপ্তাহ ধরে চলে তীব্র তাপপ্রবাহ। জনবহুল শহরগুলির উপর অত্যন্ত উষ্ণ বায়ুর গম্বুজ থমকে দাঁড়িয়ে থাকার জন্যই হয়েছিল সেই তীব্র তাপপ্রবাহ। ফিনল্যান্ডের ল্যাপল্যান্ডে বছরের জুনে তাপমাত্রা পৌঁছেছিল ৩৩.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ১৮৪৪ সালের পর যা একটি রেকর্ড। তীব্র তাপপ্রবাহে শুধু আমেরিকার ওরেগনেই মৃত্যু হয়েছে ৯৫ জনের।
এমন ঘটনা এক হাজার বছর অন্তর হয় বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা অবশ্য এ-ও জানিয়েছেন, মানুষের জন্য বিশ্ব উষ্ণায়নের মাত্রা যে ভাবে উত্তরোত্তর লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের পরিমাণে রাশ টানা যাচ্ছে না, তাতে এমন ঘটনা পরে ঘনঘনও হতে পারে।
আরও পড়ুন
রাজ্যে নতুন আক্রান্ত এক ধাক্কায় ন’শোর নীচে, মৃত্যু ১৮, সক্রিয় রোগী ১৮ হাজারের কম
আরও পড়ুন
মহারাষ্ট্রে মহারাজনীতি, শিবসেনার চালে কি আপাতত ‘নিরাপদ’ উদ্ধব সরকার
শুধু তাই নয়, বিশেষজ্ঞদের একাংশ এমনও জানাচ্ছেন, উষ্ণায়নের জন্য দুই মেরুর বরফ দ্রুত গলতে শুরু করায় আর এক দশকের মধ্যে প্রশান্ত মহাসাগর ও অতলান্তিক মহাসাগরের উপকূলবর্তী আমেরিকার বহু শহরে বন্যা আরও ঘনঘন হবে। তা হয়ে উঠবে আরও ভয়াল।