প্রতীকী ছবি।
পিছিয়ে যাচ্ছে মহাকাশে ভারতীয় নভশ্চর পাঠানোর প্রকল্প। শুক্রবার ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, নিরাপত্তার কারণে চলতি বছর ‘গগনযান-২০২২’ প্রকল্পের চূড়ান্ত ধাপ সম্পন্ন নাও হতে পারে। ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ বলেছেন, ‘‘নিরাপত্তার কারণে আগামী সেপ্টেম্বর এবং নভেম্বরে দু’টি মনুষ্যবিহীন মহাকাশযানকে নিরাপদে ফিরিয়ে আনার পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’’
ইসরোর একটি সূত্র জানাচ্ছে, মহাকাশযান উৎক্ষেপণের চেয়েও নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা অনেক বেশি কঠিন। নাসার অভিযাত্রী কল্পনা চাওলার ‘কলম্বিয়া’ মহাকাশযানটি পৃথিবীতে ফেরার পথে ‘হিট শিল্ড’-এ সমস্যা হওয়ায় বায়ুমণ্ডলের সংস্পর্শে আসতেই জ্বলে গিয়েছিল। এ ক্ষেত্রে তাই সব ধরনের সাবধানতা অবলম্বন করেই এগোনো হবে।
২০১৮ সালের ১৫ অগস্ট স্বাধীনতা দিবস পালন কর্মসূচিতে ‘গগনযান-২০২২’ প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর পর ইসরোর তৎকালীন চেয়ারম্যান কে সিভন জানিয়েছিলেন, ২০২২ সালে শ্রীহরিকোটার উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে ওই মহাকাশযান ছাড়া হবে। তাতে থাকবেন তিন জন ভারতীয় মহাকাশচারী। উৎক্ষেপণের ১৬ মিনিটের মাথায় মহাকাশযানটি ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩০০-৪০০ কিলোমিটার দূরত্বে পৌঁছে পৃথিবীকে পাক খাওয়া শুরু করবে। সে জন্য ব্যবহার করা হবে ভারতের নিজস্ব জিএসএলভি এম কে-থ্রি রকেট।
এর পর গগনযান প্রকল্পের অগ্রগতির খবর জানিয়ে ইসরোর তরফে বলা হয়েছিল, রাশিয়া, আমেরিকা ও চিনের পর চতুর্থ দেশ হিসেবে মহাকাশে গবেষণার উদ্দেশ্যে নভোশ্চর পাঠানোর কর্মসূচি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যেই শেষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রসঙ্গত, পৃথিবীকে ঘিরে মহাকাশযানের যে ‘অরবাইটাল মডিউলটি’ পাক খাবে তাতে দু’টি অংশ থাকবে। একটিতে মহাকাশচারীরা থাকবেন। সেটির নাম ‘ক্রু মডিউল’। যা যুক্ত থাকবে ‘সার্ভিস মডিউল’-এর সঙ্গে। ৫-৭ দিন মহাকাশচারীরা মহাকাশে থাকবেন। এর পর আরব সাগরের উপকূলে কোনও জায়গায় তাঁদের ফেরত আনা হবে।